গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরঘোড়ামারা ব্রহ্মপুত্র সংযোগ খালে সেতু নির্মাণ হলেও দীর্ঘদিনেও নির্মিত হয়নি সড়ক। সংযোগ সড়ক ও মূল সড়ক না থাকায় এলাকাবাসী চরমদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
দু’উপজেলার সীমান্তবর্তী খালটি এ সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরএ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/ কালভার্ট কর্মসূচীর অধিনে ২০১৭-১৮অর্থ বৎসরে ২৪লাখ ৪৫হাজার ৫৯৫টাকা ব্যয়ে এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
প্রকল্পটির নাম সাহেব কাচারী বাজার থেকে উত্তর ঘোড়ামারা খালের উপর এম.এ জলিল প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ৩২ফুট দীর্ঘ সেতু নির্মাণ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নেত্রকোণা ছোট বাজার এলাকার মেসার্স আজিজুল হক পলাশ সেতুটি নির্মাণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, সেতুর পূর্বপাশ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৭নং চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের। এ ইউনিয়নের বাসিন্দা নিকুরিয়ারচরের মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বর্ষাকালে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খালের পাড় তলিয়ে যায়। শুকনো মৌসুমেও সড়ক না থাকায় বাইসাইকেলও চলাচল করে না। ব্রিজটি পশ্চিমপাশে গৌরীপুর উপজেলার ৮নং ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরঘোড়ামারা গ্রাম।
এ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবী, ব্রিজের অপরপাশের রাস্তাটা নির্মিত হলে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে যাতায়তেও সুবিধা হবে। নিকুরিয়ারচরের শমসের আলীর পুত্র মো. ইউসুফ আলী জানান, সেতুর পরে কোন সড়ক নেই। এ এলাকার প্রায় আড়াইশ পরিবার বর্ষা মৌসুমে চলাচল চরম বিঘ্ন ঘটে।
বর্তমানেও পায়ে হাটা ছাড়া চলার কোন পথ নেই। খাল ঘেঁষে এম.এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেতুর দু’পাশের সড়কেরই বেহাল দশায় শিক্ষার্থীরাও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম রতন মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার বলেন, বিশেষ করে এম.এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছিলো। সড়ক নির্মাণের জন্য পাশ^বর্তী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগের বিষয়টি তিনিও অবগত আছেন, বরাদ্দ পেলেই হয়তো রাস্তা নির্মাণ শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সোহেল রানা পাপ্পু বলেন, সেতু এলাকা গৌরীপুর উপজেলার। সড়কটি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার। রাস্তা নির্মাণের জন্য বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।