করোনায় আবারো সর্বোচ্চ মৃত্যু ২৩০ : সনাক্ত ১১৮৭৪ জন

প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১

স্বজন ডেক্স : সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মারা গেছেন ২৩০ জন। এর আগে গত ৯ জুলাই সর্বোচ্চ ২১২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল ১০ জুলাই মৃত্যু (১৮৫ জন) কমে এলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আগের দিনের সেই রেকর্ডকেও অতিক্রম করে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাতে শনাক্ত হয়েছেন এগারো হাজার ৮৭৪ জন। যা কিনা একদিনে রোগী শনাক্তের নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৯১ জনের শনাক্ত হবার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রবিবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩০ জনকে নিয়ে করোনাতে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৬ হাজার ৪১৯ জন আর নতুন শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ৮৭৪ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩৬২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন আট লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫১ লাখ এক হাজার ৭১২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৫টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৩ জন আর নারী ৯৭ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ৫০৮ জন আর নারী মারা গেলেন চার হাজার ৯১১ জন।

তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ রয়েছেন ১১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন সাতজন।

তাদের মধ্যে বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগের আছেন ৫৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৬ জন, খুলনা বিভাগের ৬৬ জন, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আটজন করে, রংপুর বিভাগের ২২ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন পাঁচজন।

মারা যাওয়া ২৩০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ১৯ জন।