ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সরকারী খাল দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জিগাতলা গ্রামের মৃত মংলা মিয়ার ছেলে ছুরত আলী ও আঃ ছোবান দীর্ঘদিন ধরে জিগাতলা গ্রামের ভিতর দিয়ে ভয়ে যাওয়া পংখী খালে নির্মিত ব্রীজের মুখ মাটি কেটে বন্ধ করে, ফিসারী নির্মাণে অবৈধ ভাবে মাছ চাষ করে আসছে।
উজান থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম খালটি গত কয়েক বছর ধরে দখল হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন পথ রুদ্ধ হয়ে গোটা এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
এতে ঐ অঞ্চলের ফসলের ক্ষেতে, মাছের ফিসারীসহ জিগাতলা গ্রামের একাংশ পানিতে তলিয়ে থাকে। জিগাতলা গ্রামের মৃত জুলমত খা’র ছেলে নূর হোসেন বলেন, খালের উপর নির্মিত ব্রীজের মূখ বন্ধ করে মাছ চাষ করায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির তীব্র চাপে আমার পুকুরের পাড় ভেঙ্গে তলিয়ে যাওয়ায় দেশীয় মাগুর ও কৈ মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতীর দেশীয় মাছ গিয়ে প্রায় ২৫০০০০(আড়াই লক্ষ) টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম এই পংখী খালটি দখল করে ব্রীজের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করার কারণে বৃষ্টি হলেই এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং পানি বন্দী হয়ে আমাদের ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে।
আবুল হাশেম, আলিম উদ্দিনসহ এলাকাবাসী দাবি, খালটি দখলমুক্ত করে পূণঃখননের ব্যবস্থা করলে গোটা এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হবে। ফলে এলাকার কোন মৎসচাষী এবং কৃষকেরা তিগ্রস্থ হওয়া থেকে রা পাবে।
এনিয়ে অভিযুক্ত ছুরত আলী অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি আমার নামীয় বি আর এস ভুক্ত জমিতে পুকুর খনন করেছি। সরকারী কোন খাল দখল করিনি। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান বলেন তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।