জাল ও লাইসেন্সবিহীন রিক্সা অটোরিক্সাসহ রং পরিবর্তন করে রাস্তায় নামলে কঠোর ব্যবস্থা- মেয়র টিটু

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশরেন আয়োজনে সিটি এলাকার যানজট নিরসনকল্পে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অটোরিকশা ও রিকশা মালিক ও চালক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে এই সভা হয়।

সভার সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। এসময় তিনি বলেন, ময়মনসিংহ নগরীর যানজট নিরসনে আমরা দীর্ঘ সময় ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তর ও স্টেকহোল্ডারগণের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি এবং নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সিটির নগরিকদের জীবন সহজিকরণে এবং যানজট নিরসনে এখন কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


মেয়র তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, অটোরিকশা এবং রিকশার েেত্র আমাদের সমস্যা দুইটি। একটি জাল লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন রিকশা বা অটোরিকশা এবং অপরটি রং পরিবর্তন করে রাস্তায় অটোরিকশা নামানো। কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে তিনি আরো বলেন, জাল বা লাইসেন্স বিহীন কোন যান পাওয়া গেলে কোন মা প্রদর্শন করা হবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রং পরিবর্তন করে কেউ গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ জরিমানার বিধান রেখে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মোটা চাকার রিকশা চলাচলও রং এর আওতায় আনা হবে। কোন রং দ্বারা বিভক্তি করা হবে তা দ্রুতই সিটি কর্পোরেশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে আগামী ১৫ দিন সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হবে। পরবর্তীতে আগামী ০৬ ফেব্রুয়ারি থেকে থেকে পুলিশ-প্রশাসন ও সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগে সিটি কর্পোরেশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এছাড়াও সিটি মেয়র যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং সিটি সচিব রাজীব সরকারের নেতৃত্বে একটি কমিটির রূপরেখা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, দ্রুতই এ কমিটি কার্যকর হবে।

 

তিনি আরো বলেন, আমরা বেড়ি বাঁধের পাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছি। এটি প্রশস্ত করা এখন সময়ের দাবি। এটিও আমরা দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করবো। এছাড়া যানজট নিরসনে পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ডের পাশে আমরা পুলিশ বিভাগরে অনুরোধে প্রায় ৯০ ল টাকা ব্যয়ে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেছি যাতে মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করা যায়। রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার ব্যপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

 

মাননীয় মেয়র তাঁর বক্তব্যে শহরের ভেতর দিয়ে গণপরিবহন যাতায়াত, সড়ক প্রশস্তকরণ, পাটগুদাম বাস টার্মিনাল স্থানান্তর, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর গৃহিত পদপে ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সিটি কর্পোরেশন সচিব রাজীব সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ শাহজাহান মিয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজীব উল আহসান, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, সহকারী কমিশনার শাহাদাত হোসেন, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল খালেক, ট্রাফিক ইনস্পেকটর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিই মোঃ আজহারুল ইসলাম, সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অটোবাইক মালিক ও চালক এবং রিকসা মালিক ও চালক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।