গফরগাঁওয়ে গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন

প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতাঃ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যৌতুকের জন্য স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজনের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গৃহবধূ শিমীম (২১। তাকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গফরগাঁও থানায়একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর অগেও যৌতুকের জন্য অসহায় এই গৃহবধূর উপর নির্যাতন করে তার স্বামী মোঃআব্দুল্লাহ আল নাঈম ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গফরগাঁও পৌর শহরের ৫ নং চাঁদনী মোড় (নতুন বাজার) এলাকার একেএম শামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নাইম (২৭)

। ২০১৮ সালের ১০অক্টোবর তারিখে তার সঙ্গে পৌরশহরের ৫নং ওয়ার্ড জন্মে জয় এলাকার আব্দুর রউফের মেয়ে শিমীমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নাইম যৌতুক দাবী করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আব্দুর রউফ নাইমকে নগদ দুই লাখ টাকা, দেড় লাখ টাকায় মোটর সাইকেল, পঞ্চাশ হাজার টাকায় ফার্নিচার এবং তিন লাখ টাকায় স্বর্নালংকার সাত লাখ টাকার যৌতুক প্রদান করে। কিন্ত এতেও মন ভরেনি স্বামী নাইম ও তার পরিবারেরর লোকজনের । আরও টাকার জন্য কারনে-অকারনে নির্যাতন করতে থাকে গৃহবধূ শিমীমের উপর।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর গফরগাঁও থানায় দুইপক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে মিমাংসার প্রথমশর্ত হিসেবে তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের কাছে আর কোন যৌতুক দাবী করতে পারবে মেনে নিয়ে আপোষ নামায় স্বামী নাইম স্বাক্ষর করে।এরপরও নাইম যৌতুকের জন্য শিমীমের উপর অত্যাচার করতে থাকে।

সর্বশেষ নাইম তার শ্বশুর বাড়িতে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। শিমীম দাবীকৃত যৌতুক দিতে না পারায় গত এক মাস আগে শিমীমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় নাইম ও তার বাড়ির লোকজন। সর্বশেষ গত রবিবার দুপুরে নাইম শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত হয়ে শিমীমকে লাঠি ও কারেন্টের তারের বেত দিয়ে এলাপাথারী পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। বাসার লোকজন শিমীমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ শিমীম বলেন, ৭ লাখ টাকা দিয়ে যৌতুক দিয়েও স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজনকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আমার সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে।