শুধু সার-কীটনাশক নয়, নিরাপদে কৃষকের ঘরেঘরে ধান পৌঁছে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা – মো. মোফাজ্জল হোসেন খান

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২১

আলী হায়দার রবিন, গৌরীপুর অফিস :
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে রোববার (৩১ অক্টোবর/২০২১) ভূর্র্তুকি মূল্যে কৃষকের নিকট হারভেস্টার মেশিন ও ধান মাড়াইকল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন খান কৃষকদের নিকট মেশিন ও মেশিনের চাবি হস্তান্তর করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্বের প্রত্যেকটি সরকারের সময় সারের জন্য পুলিশের গুলিতে কৃষক নিহত হয়েছেন। দিন-রাত লাইনে দাঁড়িয়েও কৃষক সার পায়নি। আর আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষকের ঘরেঘরে সার, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিরাপদে ফসল ঘরে তোলার জন্য ভূর্তুকি মূল্যে কৃষি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে উৎপাদন খরচ কমছে এবং উৎপাদনও বাড়ছে।

ভূর্তুকি মূল্যে হারভেস্টার পেলেন উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কিল্লাতাজপুর গ্রামের দেওয়ান খসরুজ্জামান খান বাবুল, সহনাটি ইউনিয়নের সহনাটি গ্রামের কৃষক মোঃ ইউসুফ আলী ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের সাতপাই গ্রামের কৃষক আল-আমিন। এছাড়াও ভর্তুকি মূল্যে ধান মাড়াইকল পেয়েছেন উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের রুকন্দিপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার¬¬¬¬ সুমন সরকার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাম আক্তার রুবি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন, মো. আব্দুল ওয়াহেদ খান, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা বেগম আকন্দ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন, গৌরীপুর ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইন্সটিটিয়োশন বাংলাদেশের সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার বলেন হারভেস্টার মেশিনগুলোর প্রতিটি মূল্য ৩১ লাখ টাকা। ভূর্তুকি মূল্যে কৃষক দিয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ টাকা। এই মেশিন দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই, চিটামুক্তকরণ ও বস্তাভর্তিও হয়ে যাবে। এছাড়াও ধান মাড়াইকলের মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ভর্তুকি মূল্যে কৃষক দিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা।