স্বজন ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (ফেব্রুয়ারি) ৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করবে কমিটি। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে আপিল বিভাগের সামনে ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির সদস্যরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন।
বৈঠকে অংশ নেন সার্চ কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সার্চ কমিটির সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আজ অনুসন্ধান কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক ছিল। সেখানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত যেসব রাজনৈতিক দল আছে, তাদের কাছে আগামীকাল (বুধবার) দুপুরের মধ্যে চিঠি দেওয়া হবে। প্রত্যেক দলকে আগামী শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে অনলাইন অথবা সরাসরি ক্যাবিনেটে অনধিক ১০ জনের নমিনেশন ওনারা দিতে পারবেন। এজন্য শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্যাবিনেট খোলা থাকবে। তখন তাদের প্রস্তাব রিসিভ করার ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্যদের কাছেও নাম চাওয়া হবে। তাদেরও যদি কোনো সাজেশন থাকে তারা দিতে পারবেন।
আগামী শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর পৌনে ১টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত আমাদের বিশিষ্ট নাগরিক বা পেশাজীবী বা সাংবাদিকসহ গণমান্য যারা আছেন তাদের সঙ্গে মিটিং হবে। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল ৪টায় একটা মিটিং হবে। মোট তিনটা মিটিং হবে।
বিশিষ্ট নাগরিকের তালিকা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকা করা হয়েছে, সেটা প্রায় ৬০ জনের। তারপরও থাকতে পারে যদি কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বাদ পড়ে যান সেটা সভাপতির এখতিয়ার থাকবে। সভাপতি যদি মনে করেন তাদেরও ডাকা দরকার তাহলে তিনি তাদেরও ডাকবেন।
এরই মধ্যে ৩০ জনের মতো নাম চলে এসেছে বলেও জানান তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে সেই ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সময় দেওয়া আছে ১৫ কার্যদিবস। আমরা সেগুলোও চেক করছি। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচন শেষ হবে। এরপর আর নির্বাচন থাকবে না। তারপরও লিগ্যাল সাইটটা আমরা আগামীকাল চেক করে দেখবো।
আপনাদের সার্চ কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সার্চ কমিটি অ্যাবসুলেটলি নিরপেক্ষ।
আগামী শুক্র ও শনিবার দুদিন কাজ করলেই অনেক কাজ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম বৈঠক করে সার্চ কমিটি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।