কেন্দুয়া ( নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :
এ ঘটনাটি শনিবার রাতে ১১ টার দিকে উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের আধ্যাত্মিক সাধক হাসান শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকায়
ঘটেছে।
নিহত সুমন মিয়া (১৫) চিথোলিয়া গ্রামের মৃত ইনচান মিয়া ছেলে। আহতরা হলো চিথোলিয়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে রেদুয়ান হাসান রিয়াদ (১৪), জসিম উদ্দিনের ছেলে হাসান (১৬), মজিবুর রহমানের ছেলে জীবন (১৪), শরীফ মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়া (১৩)।
সুত্রে জানা গেছে,সাগুলী গ্রামের আধ্যাত্মিক সাধক হাসান শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরস চলছিল। শনিবার রাতে নিহত ও আহত কিশোররা সবাই ওরসে গিয়েছিল। রাত ১১ টার দিকে কিশোরদের দুই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ছুড়া-কিরিচ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কেন্দুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিহত সুমন ও রিয়াদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপর পক্ষের হাসান,জীবন ও রিফাতকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান।
কি বিষয়টি নিয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট করে বলতে পারছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেউ কেউ বলছেন সম্প্রতি গ্রামে একটি ফুটবল খেলা নিয়ে তাদের মাঝে দন্দ্ব ছলছিল আবার গ্রামের সমিতি নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এবং মামলা মোকাদ্বমা চলে আসছে। রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফখরুজ্জামান জুয়েল।
নিহত হওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন,পূর্বশ্রুতার জেরেই এঘটনাটি ঘটেছে। দুই গ্রুপই চিতোলীয়া গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এঘটনায় কাউকে আটক হয়নি বলে জানান তিনি।