স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভর্তুকি মুলে পন্য সামগ্রী বিতরণের আওতায় টিসিবির মাধ্যমে ময়মনসিংহে ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭১ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে (রবিবার) থেকে পণ্যবিক্রি শুরু হবে। এর মাঝে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ৭০ হাজার, ৪০৯ জন এবং ১০টি পৌরসভা ও ১৩ উপজেলার সকল ইউনিয়নে ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৬২জন উপকারভোগী পরিবার রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনসহ ১৩ উপজেলা ও বিভিন্ন পৌরসভায় ৫৬৬টি স্পটে এই পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক শনিবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনে কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি আরো বলেন, রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষদের কমমুল্যে নিত্যপণ্য দিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক। মানবিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মাধমে টিসিবির আওতায় দেশব্যাপী তৃণমুলের কোটি মানুষকে এই সুবিধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে বিতর্কিত করতে অনেকেই কাজ করছে। কোন ধরণের বিতর্কের সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, মেয়র, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় পণ্য বিতরণের পুর্বে উপকারভোগী বাছাই, পরিবার কার্ড পুরণ, ডিলার নিয়োগ ও বরাদ্ধ সংশ্লিষ্ঠ সকল কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশণা অনুসারে সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতি উপকারভোগীর জন্য ২ ধাপে পণ্য বিতরণ করা হবে। প্রথমধাপে রবিবার ২০ মার্চ শুরু হয়ে ২৭ মার্চ শেষ হবে। প্রথমধাপে প্রতি উপকারভোগী পরিবার ২ কেজি হারে চিনি, মশুর ডাল ও ২ লিটার সোয়াবিন পাবে। এক্ষেত্রে চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও সোয়াবিন ১১০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথমদিনে ময়মনসিংহ সিটির ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডসহ জেলার ১০টি পৌরসভা এবং সদরের অষ্টাধর, তারাকান্দা উপজেলার তারাকান্দা, কাকনী, ধোবাউড়ার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও গামারীতলা ইউনিয়নে ৪১ হাজার ২৮২ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে এই পণ্যবিক্রি করা হবে। রবিবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই পণ্যবিক্রি উদ্বোধন করা হবে। সুন্দর, সুশৃংখল পরিবেশে জেলার সকলস্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত জনপ্রতিধিগণ সার্বক্ষনিক মনিটিরংয়ে থাকবেন। এছাড়া প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে বিক্রয় কাজে সহযোগীতা করবেন। লাইন ধরে সিরিয়াল অনুসারে বিতরণকালে উপস্থিতিদের মাঝে বিক্রয় করা হবে। এখানে কোন ধরণের কারচুপি ও স্বজনপ্রীতির সুযোগ নেই। এ সময় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পুলক কান্তি চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে টিসিবির ডিলারদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক।