গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আনসার সদস্য মোঃ জলিল মিয়া ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (২৩ মার্চ) ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছে । গত ১৮ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে উপজেলার পাগলা থানার মশাখালী ইউনিয়নের মশাখালী গ্রামের মধ্যপাড়া বায়তুল ফালা জামে মসজিদে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের শেষে আসন্ন মাহে রমজান মাসের তারাবির নামাজের ইমাম নিয়োগ নিয়ে মসজিদ কমিটির লোকজন ও মুসল্লিদের আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার মধ্যে বিাবদমান দুই পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়, এ সময় স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে ফারুক মন্ডল, মিশুক, মানিক, মাসুম এবং আঃ রাজ্জাক, সুমন মিয়াসহ ৮/১০ জন ব্যক্তি মসজিদের পাশের বাড়ি থেকে রামদা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র সংগ্রহ করে আনসার সদস্য মোঃ জলিল মিয়ার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আনসার সদস্য জজিল মিয়ার হাত,পা ও মাথায় রামদা দিয়ে এলোপাথারী কোপিয়ে জলিল মিয়াকে গুরুতর জখম করে। উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে সে মারা যায়। নিহতের স্ত্রী মানসুরা আক্তার জানান, আঃ আওয়াল ও তার ছেলেরা মিলে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি হত্যার বিচার চাই।
নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বলেন,বিনা কারণে আওয়াল ও তার ছেলেরা আমার ভাইকে কুপিয়ে ভাইয়ের হথ্যা করেছে।আমি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।