তারাকান্দায় আবাদী জমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা! 

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২২
তারাকান্দা প্রতিনিধি। :  ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে মাহাসড়কের পাশে  আবাদী জমিতে গড়ে তুলেছে জনতা ব্রিকস্ ইট ভাটা। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ।
 জানা যায়,দেশের প্রতিটি উপজেলায় ভাটা স্থাপনে একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি সরকারের বৈধ নিয়ম মোতাবেক জমির অবস্থান যাচাই-বাচাই করার পর একটি প্রত্যায়নপত্র দিবেন।
সূত্র মতে, পরিবেশ আইন অনুযায়ী উর্বর ও আবাদী জমিতে কোন ভাবেই ভাটা স্থাপন করা যাবেনা।পরিবেশ বিপন্ন তথা জনমানুষের অকল্যান না হয় এমন সামগ্রিক অবস্থা মাথায় রেখে কমিটির সুপারিশ মতে, সংশ্লিষ্ট কৃর্তৃপক্ষ ইট ভাটার বৈধ লাইসেন্স প্রদান করবেন।
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক
অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মনীতি মোতাবেক এসব ইট ভাটার ছাড়পত্রও বৈধ নয়। কারন সরকারের নিয়মানুযায়ী বা পরিপত্র কিংম্বা পরিবেশ আইনুযায়ী কোন আবাদী বা উর্বর জমিতে কোন ইট ভাটা নির্মান করা যাবে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,  তারাকান্দা কাকনী ইউনিয়নে জনতা ব্রিকস্ দু’ফসলী আবাদী জমিতে ইট ভাটা স্থাপন করে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যাবসা করে আসছে। সম্পর্ণ অনৈতিক ভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ভাবে ছাড়পত্র দিতে পারেনা।
ওই ইটভাটার মালিক শরীফ সাহেব পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রে বদৌলতে লাইসেন্স করে নিজের মত করে উর্বর জমির লাখ লাখ ঘন ফুট মাটি এনে ভাটায় ইট উৎপাদন করছে প্রতিবছর।
দু’ফসলী উর্বর জমিতে ইট ভাটা স্থাপন করে শত একর জমি নষ্ট করে ফসল উৎপাদন ব্যাহত করে আসছে।একদিকে সরকারের বলবৎ পরিবেশ আইন ভঙ্গ অন্যদিকে ইটভাটার স্থাপনে ছাড়পত্র এ যেন ভানুমতির খেলা।
সরে জমিন গিয়ে, ইটভাটায় ইটবিক্রির নিয়মিত রেজিষ্টার খাতা দেখতে চাইলে অসৌজনমূলক আচরণ করে চার্জে থাকা ম্যানেজার। জানতা ব্রিকস্
 সরকারের আয়কর বা রাজস্ব প্রদানের ব্যাপক ভাবে গড়মিল হিসাব করছেন।
নিয়মপালনে ইটভাটায় ইটবিক্রির নিয়মিত রেজিষ্টার সংরক্ষণ করন বাধ্যতামুলক। তার কোন বালাই নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাকিব আল – রানা জানান আমি প্রায় দুই বছর ধরে এই উপজেলায় কর্মরত আছি। আজ পর্যন্ত  ইটভাটার প্রত্যায়ন পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা কমিটি কোন দিন মিটিং করেনি।
ওই সকল বিষয় নিয়ে জনতা ব্রিকস্ ‘র শরীফ সাহেব কথা বলতে রাজি নন। ইটভাটার কারনে আশপাশের বাড়ী-ঘরে ধূলা-বালি গিয়ে মানুষের শরীরে নানা রোগ দেখা দিয়েছে। ইটভাটার ধূলিতে পাশের ফসল নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয় নিয়ে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত জানান- বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।