পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতায় ১৩ হাজার হেক্টর বোরো জমি হুমকিতে

এক বছরেও সংস্কার হয়নি ভাঙা বেড়িবাঁধ

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২২

জালাল উদ্দিন সোহাগ, ধোবাউড়া প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও নেতাই নদীর ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ আজও সংস্কার করা হয়নি। গত বর্ষা মৌসুমে ঘোষগাঁও থেকে কলসিন্দুর পর্যন্ত বেড়িবাঁধের তিন জায়গাতে ভেঙ্গে যায়। ভেঙে যাওয়া বাঁধটি প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সংস্কার করার প্রস্তুতি নেয়নি কোন জনপ্রতিনিধি বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

 

ভারত থেকে আসা নেতাই নদী উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোষগাঁও, দক্ষিণ মাইজপাড়া ও গামারীতলা ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত। ভারত বৃষ্টি হলে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এসব ইউনিয়নের মানুষগুলো নিজেদের বাড়ি-ঘর, হাঁস-মুরগীসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে হুমকির মুখে পড়ে যায়। গত বছরের বর্ষায় বেড়ি বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এ পর্যন্ত দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সংস্কারের জন্য কোন প্রকার মাথা ব্যথা নেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে মাঠে ফসল নিয়ে আহাজারিতে দিন কাটছে কৃষকদের।

বছর শেষে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চলমান বৃষ্টি ও আকাশের মেঘাচ্ছন্নভাব দেখে বাড়ি থেকে ক্ষেতে ছুটাছুটি করে আর্তনাদ করছে কৃষকরা। ঢলের আতঙ্কে নিজেদের বসতবাড়ি ও গবাদি পশু নিয়ে চিন্তায় প্রহর গুনছে ভাটি এলাকার মানুষ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী তিন ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার হেক্টর এবং পুরো উপজেলা জুড়ে বোরোধান আবাদ করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে। যদি ভাঙা বেড়ি বাঁধের একটি স্থানও সংস্কার বিহীন থাকে তাহলে প্লাবিত হবে পুরো উপজেলাবাসী এবং চাষীদের ক্ষতি হয়ে যাবে কোটি কোটি টাকা।

 

ভাঙ্গা স্থানগুলো সংস্কার করা না হলে ৯৫% কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে পারবেনা বলে ধারণা করছে সচেতন মহল। দ্রুত এই বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে জনগণের বাড়ি-ঘড় ভেঙ্গে গিয়ে সোনালী ফসল ধূলিসাৎ হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেন নিরব ভূমিকা পালন করছে? প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে তিনি।