সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ
সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ : হাসপাতলে পানি
স্বজন ডেস্ক :সিলেটে ও সনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। আজ কয়েক ঘণ্টার বর্ষণে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সিলেট রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়ে এবং শহরের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিচতলার ওয়ার্ডগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এর মধ্যে হাসপাতালের জেনারেটরে পানি ঢোকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সিলেট রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেটের সঙ্গে সব উপজেলার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও স্টেশন থেকে ট্রেন চলবে। শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রেলস্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ ঘটনায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দুই জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলবে।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের বিশেষ জেনারেটর হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এতে অন্তত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ও অস্ত্রোপচার বিভাগটি সচল রাখা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১ হাজার ৭৬০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে হাসপাতালে পানি ঢোকায় কিছু রোগী চলে গেছেন।’
এদিকে শনিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের অনেক এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। নগরীর মদীনা মার্কেট, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার, কলাপাড়া, আম্বরখানা, চৌহাট্টাসহ অনেক উঁচু এলাকা তলিয়ে গেছে। প্রবল স্রোতসহ পানি প্রবেশ করতে থাকায় এসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১০৮.৭ মিলিমিটার। আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৫৭ মিলিমিটার। এ অবস্থা আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।