গফরগাঁও ( ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ও আওয়মীলীগ নেতার হাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের শিকার হওয়া এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বাড়ি থেকে প্রায় তিনশত গজ দুরে আমগাছের ঢালের সাথে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহহত্যা করে সে। উপজেলার পাগলা থানার মুখী গ্রামে সোমবার দিনে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পাগলা থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুখী গ্রামের এবং গফরগাঁও সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর (২২) সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল করিমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সন্তানের জনক আব্দুল করিম ওরফে করিম মাষ্টার মশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সােেবক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দীঘা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। এলাকাবাসীর অভিযোগ করিম মাষ্টার ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ধর্ষন করে আসছিল। বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে জানাজানি হয়ে গেলে ওই কলেজ ছাত্রী করিম মাষ্টারকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। সোমবার সকালে কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবীতে করিম মাষ্টারের বাড়িতে উপস্থিত হলে করিম মাষ্টার দুই জন ভূয়া সাংবাদিককে ভাড়া করে আনে। তথাকথিত ওই সাংবাদিকরা ওই কলেজ ছাত্রীকে আপত্তিকর বিভিন্ন ধরনের কথা বলে, নানা ভাবে হেনস্থা করে, ভিডিও করে এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এ সময় করিম মাষ্টারের বাড়ির লোকজন ওই তরুনী মারধর করে এবং তাকে জোর পূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ওই তরুনী করিম মাষ্টারের বাড়ি থেকে বের হয়ে এক দৌড়ে তিনশত গজ দুরে মুখী স্কুলের বাজারের পিছনে মিলনের ভিটার জঙ্গলে ছোট আম গাছের ঢালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পাগলা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই করিম মাষ্টারের বাড়ির লোকজন বাড়িতে তালা মেরে বাড়ি থেকে পারিয়ে যায়।
করিম মাষ্টার মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই কলেজ সাথে পাশর্^বর্তী ভালুকা উপজেলার মাহমুদ গ্রামের এক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল।