গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর শহরের একটি বাসায় অস্ত্রের মুখে গৃহকত্রী ও তার আড়াই বছরের শিশু পুত্রকে জিম্মি করে বাসার সবার ওপর চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। স্প্রে করার ফলে দুই বছরের শিশুসহ ওই পরিবারের চারজনকে অজ্ঞান অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে পৌর শহরের মাজার রোডে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের মাজার রোডে রিয়ান মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকেন ছিপান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাতুন নাহার সেতারা। তার স্বামী আজিজুল হক সরকারি চাকুরি সূত্রে গাজিপুর থাকেন।
সোমবার দিবাগত রাতে ওই বাসার একটি রুমের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে ঢুকে একদল ডাকাত। গৃহকত্রী সেতারা বেগম টের পেয়ে গেলে ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে গৃহকত্রীকে মারধর করে, আড়াই বছরেরর শিশু পুত্র আবিরকে গলা টিপে ধরে জিম্মি করে বাসার সবার ওপর চেতনা নাশক ওষুধ স্প্রে করে। সেতারা বেগম (৪৭), তার ছেলে তামিম (১৪), আদিব (১২), আড়াই বছরের শিশু সন্তান আবির অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে ডাকাতদল ষ্টীলের আলমিরার তালা ভেঙে, বাসার তছনছ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে কাজের বুয়ার ডাকাডাকির পর তামিম প্রায় অচেতন অবস্থায় দরজা খুলে দেয়। সেতারা বেগমসহ বাকীরা অজ্ঞান অবস্থায় ঘরের ভিতর পড়ে ছিল।
কাজের বুয়ার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে সেতারা বেগম ও তার তিন সন্তানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সকালেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের খোঁজ-খবর নেয়। গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশ তদন্ত করছে।