স্বজন ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর আদায় করা টোল দিয়ে ৩৫ বছরে ১৪০ কিস্তিতে সরকারের দেওয়া সব ঋণ শোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০৫৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে সেতুর জন্য ব্যয়িত অর্থ উঠে আসবে।
সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ ও উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সরকারি দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় দুটি সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়ে থাকে। সেতু দুটি হলো যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু ও ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু। সেতুগুলো স্বয়ংক্রিয় ওজন স্কেলের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনের ওজন নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যেসব ট্রাক ওজন স্কেলের নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য বহন করে সেসব যানবাহনকে সেতুতে চলাচল করতে দেওয়া হয় না।
আওয়ামী লীগের মো. শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, সেতু বিভাগের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা পাওয়া গেলে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিরোধীদলীয় সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ফোরামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এসব আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামের সদস্য হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন সড়ক রুট, ‘আঞ্চলিক রুট’ হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এসব আঞ্চলিক রুটের আওতায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সড়ক করিডোরগুলো যথাযথ মানোন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।