স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি সেনা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। একইসাথে তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী ক্রীড়া সংগঠক। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তাঁর পদচারণা ছিল মুখর। তিনি বেঁচে থাকলে হয়ত আজ দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করা হলেও তার জীবনাদর্শ ও কর্ম তরুন প্রজন্মকে এখনও অনুপ্রাণিত করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ এনামুল কবির, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান, জেলা পরিষদ প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।
এর আগে সকাল ৮টায় ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল বাদ জুম্মা সকল মসজিদ ও মাদ্রসায় তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল। এইসাথে মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন; ময়মনসিংহ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক চারা গাছ বিতরণ এবং সার্কিট হাউস মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি ও অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন।
তথ্য অফিসের উদ্যোগে রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বর, চায়না মোড়, নতুন বাজার মোড়, টাউন হল মোড়ে ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনীভিত্তিক ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ময়মনসিংহের সকল উপজেলাতে দিবসের সাথে সংগতি রেখে একই ধরণের কর্মসূচি পালন করা হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সকল আয়োজন সমন্বয় করে।