গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় প্রতিপক্ষের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরিফুর রহমান রিয়াদ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের বড় দিঘীরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ উপজেলার শিউলি গ্রামের সরকার বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আহসান উল্লাহ ফেরদৌসের ছেলে। এ সময় মুছা (২০) নামে আরেক যুবক সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়। মুছা সৈয়দপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিহত রিয়াদের বন্ধু সুমন (২৮), নাছির (৩০), নাজমুল (২৯) ও জহিরুল (৩০) জানায়, নিহত রিয়াদ ও তার বন্ধুরা শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়দিঘীর পাড়ে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে রাজু সিং, রাতুল, বিপুল, শুভ, ইয়াছিন, সফল, তায়েব এর নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল সশস্ত্র লোক রিয়াদের উপর হামলা করে। হামলাকারীদের মধ্যে ৩/৪ জন মুখোশধারী ছিল। এ সময় রিয়াদের বন্ধুরা রিয়াদকে রক্ষা করতে গেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা করে। সন্ত্রাসীরা রিয়াদ ও রিয়াদকে রক্ষা করতে আসা মুছাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারী জখম করে ফেলে রেখে যায় চলে যায়। রিয়াদের বন্ধুরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রিয়াদ ও মুছাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
রাত দশটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাদীন অবস্থায় রিয়াদ মারা যায়। রিয়াদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সংকটাপন্ন মুছাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রিয়াদের মা কান্দিপাড়া আস্কর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আকলিমা আহসান (৫৫) জানায়, তার ছেলেকে এলাকার চিহ্নিত, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। তিনি খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাসিঁ দাবী করেন।
এ ঘটনায় কান্দিপাড়া গ্রামের হাসেন আলীল ছেলে বিপুল (২৪), বেলায়েত হোসেনের ছেলে রফিক (৩০) ও নয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে খোকনকে আটক করেছে পাগলা থানা পুলিশ।
পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।