পুলক কিশোর গুপ্ত, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর গরুর হাটে জমে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম, জানা যায়, উপজেলা জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর বাজারে গরুর হাটটি গত কয়েক বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে বৃহত্তর হাট হিসাবে উল্লেখযোগ্যতা বহন করে আসছে।গত বছর এই গরুর হাট ইজারার মূল্য দাড়িয়েছিলো ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
ক্রেতা বিক্রেতাদের (আঞ্চলিক ভাষায় ছুট) প্রত্যেকের চারশত টাকা করে একটি গরু কে দিতে হয়। সরজমিনে গরুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা সহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বি-বাড়িয়া, নেত্রকোনা, নরসিংদী, গাজিপুর, মনোহরদী সহ,বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এই গরুর হাটে নিরাপত্তার কারণে গরু, মহিষ, ছাগল সূলভ মূল্যে কিনতে পারেন বলে জানা যায়। প্রতি ছোট গরুর দাম এই বছর ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা, মধ্যম সাইজের গরু ৭০হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় ও বড় গরু ১ লক্ষ টাকা হতে দেড় লক্ষ টাকায় কিনতে পারে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
এদিকে প্রতি ছাগলের মূল্য ৭ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে ছাগল কেনা যায়। মহিষ প্রতিটির দাম ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারেন বলে অনেক বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায়। তবে এই বছর বন্যা ও করোনা ভাইরাসের কারণে গরুর দাম অনেকটা কম। ভারতীয় গরু এই বছর না আসার সম্ভাবনা খুবই কম রয়েছে।
এ বিষয় সাজনপুর গরুর বাজারের ইজারাদার মোঃ আলম মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই বাজারে বিভিন্ন নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আমরা ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সেবা দিয়ে আসছি এবং যাবো বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে বাজার কমিটি সভাপতি আব্দুর রেজ্জাক জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা বৃহত্তর গরুর হাট হলো নিকলী সাজনপুরে, গরুর হাটি কে টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা দিয়ে আসছি, দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতা নিরাপদ ভাবে আসা যাওয়া করছে বলে তিনি জানান। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাকিলা পারভীন জানান, নিকলী সাজনপুর গরুর হাট জেলা বৃহত্তর গরুর হাট বলে উল্লেখ করেন।