উন্নত কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে হবে

বাকৃবির অষ্টম সমাবর্তনে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩

মোঃ কামাল হোসেন : বাকৃবির অষ্টম সমাবর্তনে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি বলেন, জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ু সহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুশাসন অনুযায়ী সভাপতির তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরোও বলেন, কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্র্যাজুয়েটদেরকে এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।
মন্ত্রী আরোও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির গুরুত্ব বুঝে কৃষি শিক্ষায় মেধাবীদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য ১৯৭৩ সনের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়ে ছিলেন। কিভাবে কৃষিকাজ করে একজন কৃষক আয় করতে পারে, তার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে, আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের এগুলো জানতে হবে, এসব সম্ভাবনাকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

এছাড়া, সমাবর্তন বক্তা হিসাবে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এম.পি বলেন, সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য শুধু সম্মান জনক বা পরিতৃপ্তির বিষয়ই নয় বরং অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের। সেই সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতারও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখে ছিলেন এদেশের মানুষ শোষণহীন, বৈষম্যহীন একটি স্বাধীন জীবন যাপন করবে। মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির যে স্বপ্ন তিনি দেখে ছিলেন তা বাস্তবায়নে তিনি অসম্ভব শ্রম ও বড়বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এখন আমাদের অঙ্গীকার, সততা, সহমর্মিতা, পরমতসহিষ্ণুতা থাকতে হবে। আজকের সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের মাধ্যমে যেন রাষ্ট্র সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল লাভ করতে পারে এটাই আমাদের কামনা।
সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ছয়টি অনুষদের ডিনগণএবং উচ্চ শিক্ষা গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর গ্রাজুয়েটবৃন্দদের মাঝে সনদ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, এবারের সমাবর্তনে ৬ হাজার ৫২২জন গ্র্যাজুয়েট অংশ গ্রহণ করেছে। সমাবর্তনের আওতাভূক্ত জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্নাতক ডিগি ্রপ্রাপ্তদের মোট সংখ্যা ৬১২১জন। জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত এম.এস. ডিগ্রী প্রাপ্তদের সংখ্যা ৬৭১৫জন এবং ২০১৬ থেকে অদ্যাবধি পিএইচ.ডি ডিগ্রী প্রাপ্তদের সংখ্যা ৫৫৩জন। এঁদের মধ্যে ৫৬জন পিএইচ.ডি., ১৫১৯জন মাস্টার্স এবং ৪৯৪৭জন স্নাতক ডিগ্রী প্রাপ্ত মোট ৬৫২২জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া, গোল্ড মেডেল-এর জন্য এম.এস. পর্যায়ে ২০৬জন এবং স্নাতকপর্যায়ে ১৮জনসহ মোট ২২৪জন নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এম.এস. গোল্ড মেডেল ১৮৩জন, স্নাতক গোল্ড মেডেল ১৮জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন করেছেন। স্নাতক অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৫০জন, এর মধ্যে ৪২জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।