নিজস্ব প্রতিবেদক, নান্দাইল থেকে:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১৯ কেজি ওজনের একটি বাগাইর মাছ বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার টাকায়। মাছটির প্রতি কেজি মূল্য পড়েছে ৯০০ টাকা।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০ টায় উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীর কামটখালী দক্ষিণ বাজারে এ মাছটি বিক্রি হয়। বাজারে মাছটি দেখতে উৎসুক ক্রেতারা উপচে পড়া ভিড় করেছেন। স্থানীয়রা জানান,এর আগে তারা এত বড় মাছ দেখেননি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বীর কামটখালী দক্ষিণ বাজারে শত শত মানুষের ভীড়। একনজর বিশাল আকৃতির বাগাইড় মাছটি দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তারা। বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে কুপিবাতি জ্বালিয়ে বড় বড় মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মাছ বিক্রেতা মো.মুন্না ও হৃদয়।
চরউত্তরবন্দ বাজারের সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী মো. হুমায়ুন এবং আসাদুজ্জামান রতন মাছটি কিনে নেন। যার প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে ৯০০ টাকা। এসময় গ্রামের বাজারে বিশালাকার মাছটি দেখতে বাজার ও আশেপাশের শত শত উৎসুক লোকজন ভিড় করেন।
স্থানীয় বীর কামটখালী দক্ষিণ বাজারের পল্লী চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা, ব্যবসায়ী জুয়েল, জনিসহ পাঁচজনে মিলে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ৬ শত টকা কেজি দরে কিনেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামের মো. মুন্না (২২) এবং হৃদয় (১৯)সিলেট থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ ক্রয় করে বীর কামটখালী দক্ষিণ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।এরমধ্যে ১৯ কেজি ওজনের বাগাইর,১২ কেজি ওজনের কাতল,১৬ কেজি ওজনের বোয়াল, ৬ কেজি ওজনের রুই এবং বড় আকারের বাইম মাছ ছিল।
ক্রেতা মো.আসাদুজ্জামান রতন বলেন, এত বড় বাগাইড় মাছ এর আগে দেখি নাই।অনেকদিন ধরে খুঁজতেছি।আজ চোখে পড়লো। তাই ১৯ কেজি ওজনের বাগাইড় মাছটি আমি ও হুমায়ুন দুইজনে কিনে নিলাম।
মো.হুমায়ুন বলেন,দাম বড় কথা নয়। বাগাইড় মাছটি পাওয়ায় খুশি হয়েছি। হাতের কাছে পেলাম তাই কিনে নিছি।
বীর কামটখালী দক্ষিণ বাজারের সভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, গ্রামের বাজারে এত বিশালাকার মাছ এর আগে আসেনি। এত বড় আইড় মাছ দেখতে তাই স্থানীয়রা ভিড় জমিয়েছে।
মাছ বিক্রেতা মো.মুন্না বলেন,আমি ৫ বছর ধরে মাছ বিক্রি করি। সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে মাছ ক্রয় করে এনেছি নান্দাইলের বীর কামটখালী দক্ষিণ বাজারে বিক্রির জন্য। ১৯ কেজি ওজনের বাগাইড় মাছটি ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। ১২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ৬শত টাকা দরে বিক্রি করেছি। ৯ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ৮শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। বাইম বিক্রি করেছি ৬শত টাকা দরে।
তিনি আরো বলেন, সবগুলো মাছ আমি প্রায় ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করছি। মাছ বিক্রি করে আমি অনেক লাভবান। সংসারও ভালো চলছে।