স্বজন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এরই মধ্যে কক্সবাজারের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবঙ সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২শ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষজন।
কিছু ঘরবাড়ি পুরোপুরি, কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বাতাস বইছে, কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি।’
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ‘বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওসব এলাকার ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে গেছে। তবে আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।’
ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘জেলার ১০ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক আংশিক, বাকিগুলো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হলেও এখন পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝোড়ো বাতাস বইছে। মাঝেরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও উত্তরপাড়ার বাড়িঘর এবং গাছপালা ভেঙে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে সেন্টমার্টিন উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙেছে ও গাছপালা উপড়ে গেছে।’
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এরই মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষজন।