স্বজন ডেস্ক : দেশে বর্তমান ৬৬ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার ৯২৬টি শূন্যপদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষক ৮ হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শূন্যপদ পূরণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সরাসরি নিয়োগযোগ্য এক হাজার ৯৫৫টি প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৪ জানুয়ারি সরকারি কর্মকমিশনে রিকুইজিশন করা হয়েছে। প্রথম গ্রুপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ২৩ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের আরেক প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭১ জন। এরমধ্যে কর্মরত রয়েছেন তিন লাখ ৯০ হাজার ৪৫ জন।
হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান দেশে বর্তমানে কোনও রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে দেশে মেয়েদের জন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে একটি বেসরকারি ও অন্যটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও একই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষা সনদ জালিয়াতি বন্ধে একটি অটোমেশন সফটওয়্যার প্রবর্তনের কাজ চলমান। সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং অনলাইনে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে সনদ যাচাই করা যাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা সনদ জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও আদর্শিক রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করিতে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারে রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইগুলোর অংশবিশেষ বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।