হালুয়াঘাট নৌকার মাঝি জুয়েল আরেং

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৩

এম.এ খালেক হালুয়াঘাট(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিং-১ হালুযাঘাট ও ধোবাউড়া আসনে তৃতীয়বারের মতো আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন জুয়েল আরেং।
রোববার(২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামীলেিগর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন এর তালিকা ঘোষনা করেন।
প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি ময়মনসিংহ-১ (ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট) আসনে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে উপনির্বাচনে ২০১৬ সালে জুলাই-এ ময়মনসিংহ-১ আসনে প্রমোদ মানকিনের উত্তরসূরি জুয়েল আরেং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকেই তিনি বাবার আদর্শকে ধারণ করে মানুষের পাশে আছেন। উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ধোবাউড়া-হালুয়াঘাট একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আসন। এই আসনেই এমপি খৃষ্ঠান সম্প্রদায়ের। তবে তিনি সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার ভেতর নেই কোনো অহংকার। সাদাসিধেভাবেই চলাফেরা তাঁর। মাঠ পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততাও বেড়েছে। জনগণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসায় এই নেতার তৃণমলে জনমত রয়েছে ব্যাপক।
প্রধানসন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখছিলেন, তার প্রতিফলক ঘটছে তার কন্যার মাধ্যমে। বাংলাদেশ আজ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নির্দিধায় বলতে পারি, আমরা উন্নয়নশীল দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে অভুতপুর্ব উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই এরিয়া প্রান্ত্রিক জনগোষ্ঠী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। হালয়াঘাট ও ধোবাউড়া দুইটি উপজেলা নিয়ে ময়মনসিংহ-১ আসন। এই দুই এলাকায় আমরা সমানভাবে সমানতালে কাজ করছি। আমি আগে ইউনিয়ন টু ইউনিয়ন সংযোগের জন্য রাস্তার উন্নয়ন করেছি। হালুয়াঘাট থেকে ধোবাউড়া রাস্তার উন্নয়ন করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সঙ্গেও রাস্তার সংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া মানুষ এখন দুইমুঠো ভাতের সাহায্যের জন্যও কেউ কারো কাছে আসে না। মানুষ চায় তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে মানুষ চায় উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থা। সেটা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন তা আমি দুই উপজেলায় সমবণ্টন করেছি। এমন কোনো পরিবার নাই যে প্রধানমন্ত্রী দেওয়া বরাদ্দকৃত অর্থ ও সামগ্রী পাননি। আমি বিশ্বাস করি যে উন্নয়ন হয়েছে জনগণ তার মুল্যায়ন করবেন। আমি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই।