ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
ঈশ্বরগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। জীবন ধারণের সব ধরণের দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় মতার বাইরে চলে গেছে। ফলে সর্বস্থরের ক্রেতা সাধারণ পড়েছে চরম বিপাকে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেয়া যায়, গত একসপ্তাহে চালের দাম প্রকার ভেদে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৬০টাকা বেড়েছে। বাজারে সব ধরণের সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্বেও দাম অনেক চড়া।
পটল প্রতি কেজি ৪০টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০টাকা, ঝিঙ্গা ৪০থেকে ৫০টাকা, আলু ৪০থেকে ৫০টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০থেকে ৮০টাকা, টমেটো ১শ থেকে ১’শ ২০টাকা, বেগুন ৫০থেকে ৮০টাকা, গাঁজর ৬০থেকে ৮০টাকা, করলা ৬০থেকে ৮০টাকা, পেঁয়াজ ৬০থেকে ৮০টাকা, রসুন ৬৫থেকে ৯০টাকা, আদা ১’শ থেকে ১’শ ২০টাকা, কাঁচা মরিচ ১’শ ৬০থেকে ২’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি সামাজিক জীবনে এক চরম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এভাবে দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে অভিজ্ঞ মহল বলছেন, গ্রামের কৃষকরা আগে সকলেই মাঠে শাক সবজি উৎপাদন করত এখন অনেকেই চাষ না করে সবাই বাজার মুখি হয়ে পড়েছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম এবং মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের দৌরাত্মই মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ। বাজারে আলু ও চালের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও তা মানা হচ্ছে না।
এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভিন জানান, বিভিন্ন হাট বাজার মনিটরিং করে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাবসায়ীদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।