গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাত্র ১০ হাজার টাকা যৌতুক না পেয়ে মানছুরা বেগম (২২) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ হত্যার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সেলিমের (৩৪) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সাড়ে চার বছর আগে উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের সিরাজ শেখের ছেলে মোঃ সেলিমের সাথে পাশ্র্বর্তী উস্থি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের কাজল মীরের মেয়ে মানছুরার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ।
মানছুরা- সেলিম দম্পত্তির ছাবিতা নামে প্রায় সাড়ে তিনবছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় কন্যার সুখের চিন্তা করে বরপক্ষকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয় কাজল মীর। এরপরও নানা অজুহাতে মানছুরার পিতার কাছ থেকে আরও লাখ খানেক টাকা আদায় করে নেয় স্বামী সেলিম ও তার পরিবারের লোকজন। দাবীকৃত যৌতুক না পেলে কিংবা পেতে দেরী হলে মানছুরাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতো তার শুশুরবাড়ির লোকজন।
মানছুরার মা শামছুন্নাহার (৪০) কাঁদতে কাঁদতে বলে, গত মাসে দুই দফায় ১১ হাজার ও ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা টাকা দেওয়া হয় মানছুরার স্বামী সেলিমকে । সেলিম আরও ১০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল।
এই ১০ হাজার টাকা না পেয়ে মানছুরাকে গলা টিপে হত্যা করেছে পাষন্ডরা। মানছুরার পিতা কাজল মীর (৫০) অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে মেয়ের জামাই বাড়ি থেকে জানানো হয় মানছুরা হঠ্যাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ খাটে রাখা হয়েছে। গলাসহ শরীরে আঘাতের চিহ্ন। বাড়িতে কোন লোক নেই।
যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে পিটিয়ে গলা টিপে হত্যা করে পাষন্ডরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় । ঘটনাস্থলে কয়েক’শ উৎসুক জনতার সামনে মানছুরার প্রায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশুকন্যা ছাবিতা থানা পুলিশকে স্বাস্ক্য দেয় তার বাবা সেলিম তারা মা মানছুরাকে গলা টিপে হত্যা খুন করেছে।
লাশের সুরতহাল রির্পোটকারী গফরগাঁও থানার এসআই মনোয়ার জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।