স্বজন ডেক্স : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজসহ নতুন পাঁচটি আধুনিক জাহাজ কমিশনিং করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি জাহাজগুলোকে নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও সাথে যুদ্ধ করতে চাই না…তবে বাইরের কোনো শত্রু যদি বাংলাদেশে আক্রমণ চালায়, তবে আমরা এটিকে প্রতিরোধ করার সক্ষমতা অর্জন করতে চাই।’
‘আজ বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার ক্রমাগত অগ্রযাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
এই কমিশনিং-এর ফলে বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় এবং নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করলো নতুন দু’টি আধুনিক ফ্রিগেট বানৌজা ওমর ফারুক, আবু উবাইদাহ ও একটি করভেট যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাশা এবং দু’টি জরিপ জাহাজ বানৌজা দর্শক ও তল্লাশী।
এর আগে চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খান নৌ জেটিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাহাজসমূহের অধিনায়কগণের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল গার্ড অব অনার ও প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার ভাষণে আরো বলেন, ‘আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জ্বিত দুইটি ফ্রিগেট ও একটি অত্যাধুনিক করভেট এবং আমাদের নিজস্ব খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি দুটি আধুনিক জরিপ জাহাজ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীর ক্ষমতাকে আরও জোরদার করবে- এটাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে নৌ বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সদ্য সংযোজিত নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ‘ওমর ফারুক’ ও ‘আবু উবাইদাহ’র দৈর্ঘ্য প্রতিটির ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার এবং করভেট যুদ্ধজাহাজ বানৌজা প্রত্যাশার দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১ দশমিক ১৪ মিটার।