বিশেষ সংবাদদাতা : মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ৩৮তম ‘১-এ’ স্প্যান। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার।
পুরো সেতুতে এখন তিনটি স্প্যান বসিয়ে ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান বাকি থাকল। ৩৭তম স্প্যান বসানোর ৯দিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যানটি। গেল মাসে ৪টি স্প্যান বসানো সম্ভব হয়েছে, চলতি মাসে আরও ১টি স্প্যান বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
শনিবার(২১ নভেম্বর) দুপুর আড়াটার দিকে স্প্যান বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের।
এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এর মাওয়ায় অবস্থিত কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি নিয়ে রওনা দেয় পৃথিবীর সবচয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। প্রায় আধাঘণ্টা পর কাঙ্তি পিলারের কাছে পৌঁছায় ৩ হাজার ৬০০ টন সমতার ক্রেনটি।
প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ভাসমান ক্রেনটি যাতে অবস্থান করতে পারে, সেজন্য আগেই ড্রেজিং করে পর্যাপ্ত গভীরতার ব্যবস্থা করা হয়। ক্রেনটি ২ পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে রেখে সুবিধাজনক জায়গায় নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং শেষে স্প্যানটি পিলারের উচ্চতায় তুলে রাখা হয় পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। এর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার।
পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারে বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।