কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসদরে সাধুপাড়াস্থ এলাকায় সরকারি পুকুরটি প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায়, প্রকাশ্য দিবালোকে বালু ফেলে ভরাট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে কতিপয় চত্রের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ সরকারি পুকুর ভরাটের বিষয়টি নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে।
দুর্গাপুর পৌরসদেরর ১নং সাধুপাড়া ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত বিদ্যানিকেতনের উত্তরে ও বাইতুল মামুর জামে মসজিদের দেিণর মধ্যবর্তী পুকুরটি উদ্ধারের প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা। এর ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওই এলাকার পানি নিঃস্কাশনের একমাত্র পথ কালভার্টের মুখটিও। সরকারি সম্পত্তি দখল করছে ভুমি দস্যুরা,টনক নড়ছে না প্রশাসনের।
সরেজিমন ঘুরে দেখা গেছে পৌরসদরের সাধুপাড়া এলাকার বসতিরা জানান,চন্ডিগর ইউনিয়নের গোয়ালিয়াকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র মোঃ মঞ্জু মিয়া। তৎকালীন রাজনৈতিক দৌরাত্বের জোরামলে ২০০৩ সালে সাধুপাড়াস্থ বিদ্যানিকেতন স্কুল সংলগ্ন পুকুরের দনি পাড়ে এস.এ খতিয়ানের ১৬৭১ দাগের পুকুরপাড়ে বসবাসরত ভুমিহীন আঃ কদ্দুসকে রাতের আধারে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৪ শতাংশ ভূমির দখলে নেয়। বসতি স্থপানের পর থেকেই সরকারি উত্তর দিকের পুকুরটি দখলে পায়তারা চালায়। ১৬৭০/৩০২৭ দাগটি খাস খতিয়ানভূক্ত ভুমি।
সম্প্রতি পুকুরটিতে রাতের আঁধারে বালু ও মাটি ফেলতে শুরু করে। পুকুরটির এস.এ দাগ নং ১৬৭০ এবং বর্তমান বি. আর. এস দাগ নং ৩০২৭, জে এল নং ২২৪ এর ২৯ শতাংশ ভূমি। ওই পুকুরের ২৯ শতাংশ ভূমির প্রায় অর্ধেক অংশটুকু মঞ্জু মিয়া ভরাট করে ফেলে।
ভোক্তভোগী এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ইতিপূর্বে তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় বেশ কয়েকবার মঞ্জু মিয়াকে পুকুর ভরাট করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন কিন্তু কিছুদিন বিরত থাকার পর সে আবারও পুকুর ভরাট করে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে তার বেশ কয়েকবার বিবাদের সৃষ্টি হয় এমনকি এ ভিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারী সম্পত্তি রায় প্রশাসন কর্তৃক এখনও কোন স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে জানা য়ায়। ফলে পুকুরটি এখন অনেকটাই মঞ্জু মিয়ার দখলে।
যেভাবে পুকুরটি বালু ও মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে তাতে সাধুপাড়া ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ পূর্বপাশে রাস্তার উপর ব্রিজটির মুখ বন্ধ হয়ে যাবে এবং অল্প বৃষ্টিতেই স্থানীয় শত শত পরিবারকে দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতার স্বীকার হতে হচ্ছে। এলাকাবাসীরা সরকারী সম্পত্তি রা ও জন দূর্ভোগের হাত থেকে রা পেতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তপে কামনা করছেন।
সরকারি পুকুরটি দখলে থাকা মঞ্জু মিয়ার মুঠোফোনে কয়েকবার চেস্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারি জায়গায় মাটি ভরাটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে কাইকে পাওয়া যায়নি। সরকারি সম্পত্তির এক বিন্দু জায়গা জোরপূর্বক দখল রোধ করা হবে। অচিরেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।