ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
নাজমুল হোসেন এবার মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় মেধা তালিকায় ১২ স্থান অর্জন করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু দরিদ্র বাবার সন্তান সে। বাবা বাঁশের বেতি দিয়ে নানান উপকরন তৈরি করার হস্তশিল্প কারিগর। উপার্জনের একমাত্র পথ এটিই। ভর্তি ফি’র টাকার অভাবে হতাশায় ভুগছিলো তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ত্রিশালের সাখুয়া গ্রামের দরিদ্র আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেনের হাতে মেডিকেলে ভর্তির সম্পূর্ন টাকা হস্তান্তর করে সহায়তা প্রদান ত্রিশালের রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
২০২১-২২ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেধা তালিকায় ১২ স্থান অর্জন করে ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া গ্রামের দরিদ্র আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন। সে মেধা তালিকায় ভাল ফলাফল করলেও তার ভর্তি হওয়া অসম্ভব হয়ে দাড়ায়।
তার বাবা বাঁশের বেতি দিয়ে নানান উপকরন তৈরি করা কুলা, চালুন, বাইর, বেতির বেড়া ও ঘরের সিলিংসহ অন্যান্য হস্তশিল্প কারিগর। এটিই উপার্জনের একমাত্র পথ। তার পক্ষে ভর্তির টাকা পরিশোধ সম্ভব নয়। টাকার অভাবে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ভর্তি। এমন খবরে নাজমুল হোসেনের ভর্তির সম্পূর্ন টাকা নিয়ে পাশে দাঁড়ায় ত্রিশালের অসহায় মানুষের আস্থাস্থল রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে দরিদ্র নাজমুল হোসেন ও তার বাবার হাতে টাকা তুলে দেন রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ মিনহাজ, বাসাস কেন্দ্রিয় কমিটির সমাজ কল্যান সম্পাদক খোরশিদুল আলম মজিব, ত্রিশাল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনোয়ার হোসেন, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নোমান, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি মতিউর রহমান সেলিম, আমাদের সময় প্রতিনিধি জোবায়ের হোসেন, রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বিরাজ, রুকন, তপন চন্দ্র সাহা, গৌতম দে, বাধন চক্রবর্তী, বিপুল কর্মকার, মানিক চন্দ্র সাহা, হারুনুর রশিদ মিল্টন, মনোরঞ্জন সরকার, সুজন আচার্য্য, জামিল উদ্দিন প্রমূখ।