গফরগাঁওয়ে নবপরিণীতা স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২১

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা  :

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্ত্রীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন মাসুদ মিয়া (২৬) নামে এক দরিদ্র যুবক । রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার কাঠাঁলীডিংগা গ্রামে নিজ বাঁিড়তে মৃত্যুবরন করে মাসুদ মিয়া।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠাঁলিডিংগা গ্রামের দরিদ্র মা সকিনা বিবির (৫০) একমাত্র সন্তান মাসুদ মিয়া । সকিনা বিবি ভিক্ষাবৃত্তি করে এবং পিতাহারা ছেলে মাসুদ মিয়া ইঁদুর মারার বিষ ফেরি করে বিক্রি করে সংসার চালায়।

গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার মাসুদ মিয়ার সাথে পার্শ্ববতী রায়ের গ্রাম এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ে সামিরা আক্তারের (২০) সাথে বিয়ে হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সামিরা দাখিল পাশ। বিয়ের পর দরিদ্র স্বামীর সংসারে খাপ খাওয়াতে পারে নাই নবপরিণীতা স্ত্রী সামিরা । সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এ

ক পর্যায়ে সামিরা পার্শ্ববর্তী ছয়ানি গ্রামের এক বিবাহিত পুরুষের সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার (১ জুন) দরিদ্র মাসুদ মিয়ার স্ত্রী সামিরা তার প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মাসুদ মিয়া, তার মা সকিনা বিবি এবং সামিরার পিতার বাড়ির লোকজনের চাপাচাপিতে ৪ দিন পর সামিরা তার প্রেমিকের কাছ থেকে পিতার বাড়িতে ফিরে আসে।

এ বিয়ের ঘটক ও সামিরার নিকট আত্ত্বীয়, মাসুদের প্রতিবেশী কাদির মিয়া রবিবার সকালে মাসুদের বাড়িতে এসে এ ঘটনার জন্য মাসুদের দারিদ্রতারকে দায়ী করে ভৎসনা করে।

স্ত্রীর পরকিয়া, কাদিা মিয়ার ভৎসনা সহ্য করতে না পেরে মাসুদ মিয়া রবিবার দুপুর ২টার দিকে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় । তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাত একটার দিকে অবস্থার অবনতি হলে বাড়ির লোকজন তাকে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দেয় । পল্লী চিকিৎসক আসার আগেই বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানর ওসি অনুকুল সরকার বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে।