নিহতরা হলেন- আসমা (২৫) আসমার ছেলে রবিন (৫) ও শাকিল (২৮)। তাদের মধ্যে শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন। শাকিল কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে। আসমার বাড়ি কুমারখালী উপজেলায়। রবিন আসমার ছেলে। তারা এএসআই সৌমেনের স্ত্রী ও সন্তান। আটক সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা এবং রবিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে সৌমেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল ও রবিন মারা যান। এবং ঘটনাস্থলে মারা যান আসমা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেন। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কুষ্টিয়ার মিরপুরের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে যখন কর্মরত ছিলেন সৌমেন তখন শাকিলের মাধ্যমে পরিচয় হয় এক সন্তানের জননী আসমার। এরপর সৌমেন-আসমা সম্পর্কে জড়ায়। পরে তারা বিয়েও করে। খুলনায় বদলি হয়ে যাবার পর আসমা আর সৌমেনের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়। তখন থেকেই শাকিলের সাথে আসমা সম্পর্কে জড়ায় বলে ধারণা করতে থাকে সৌমেন।
জানা যায়, শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় সৌমেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
আরও জানা যায়, আজ রোববার দু’জন দেখা করতে গেলে সৌমেন প্রকাশ্যে বাড়ির সামনে আসমা, তার সাত বছর বয়সী ছেলে ও শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে। পরপরই সৌমেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, আসমাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে।