কলিহাসান,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া বিশেষ ভিজিএফের নগদ অর্থ ইউপি সদস্য আব্দুল আলীর মা স্ত্রী-সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্যদের নাম দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) সদস্য আব্দুল আলী বিরুদ্ধে প্রাক্তন ইউপি সদস্য ও কৃষকলীগ নেতা জাহের আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নিকট গত ১৩ জুন লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এক পরিবারে ছয়জনের ভিজিএফের ভাতা উত্তোলন নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে,উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশেষ ভিজিএফের অধীনে ১৫শ ৫১জনের জন্য ৪৫০ টাকা হারে ৬ল ৯৭ হাজার ৯শ ৫০টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই বরাদ্দের তালিকায় ৪নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলী কৌশলে ভিজিএফ তালিকার ক্রমিক নং(৫৫৪)মাতা মোছা. সাবানের নেছা, স্ত্রী মোছা.ফিরোজা বেগম(৫৫১),পুত্র মো.ইকবাল হোসেন আশিক(৬০৬),সহোদর বোন মোছা.হাজেরা খাতুন(৪৪৩),ভাগ্নী আসমা বেগম(৬০৪), আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছা. আয়েশা খাতুন(৫৫৫) এর নাম অর্ন্তভূক্তি করেন। এক পর্যায়ে বিতরণের নির্ধারিত তারিখে জনপ্রতি ৪৫০টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
দুস্থদের ভিজিএফের বিশেষ উপহারের টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল আলী জানান,সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করেই নিজেদের কিছু নাম তালিকায় এন্ট্রি করিয়েছি। কারও নাম বাদ পড়লে তখন তাদেরকে দিয়ে দিবো।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন(মোতালেব) জানান, দুস্থদের ভিজিএফ এটা তাদের প্রাপ্য। সেখানে ইউপি সদস্যের স্ত্রী-সন্তানরা সেটার সুবিধা ভোগ করতে পারবেনা। আমার ইউনিয়নের ১৫শ ৫১জনকে ভিজিএফের আওতায় এনে জনপ্রতি ৪৫০টাকা বিতরণ করেছি। সেখানে কোন ইউপি সদস্য যদি তার স্ত্রী-সন্তানদের নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে থাকে এটি ঠিক হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল হাসান প্রতিবদেককে বলেন, অভিযোগটি আমি এখনো দেখেনি। তবে অভিযোগটি তদন্ত সাপেে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।