ত্রিশাল কোনাবাড়ী-হরিরামপুর সড়ক দুইমাস না যেতেই দুই কোটি টাকার সড়কে অসংখ্য গর্ত, ভাঙন সৃষ্টি

প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২১

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
সড়কের সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্মমানের সামগ্রী। যার ফলে দু’মাস না যেতেই উঠে গেছে পিচের ঢালাই। প্রয়োজনীয় স্থানে গাইডওয়াল না থাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সড়কে। দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কোনাবাড়ী-হরিরামপুর সড়কের এমন দশায় এলজিইডি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোনাবাড়ী গ্রাম থেকে হরিরামপুর ইউনিয়নের আমতলী মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের কোনাবাড়ী-হরিরামপুর সড়ক। ওই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয় গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি। সংস্কার কাজে ব্যয় হিসেবে বরাদ্দ আসে প্রায় দুই কোটি টাকা। সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে কে এন্টারপ্রাইজ। নিন্মমানের সংস্কার কাজ শেষে গত মে মাসে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদার লিটু।


নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে দুই মাস না যেতেই উঠতে শুরু করেছে সড়কের পিচের ঢালাই। তিনশ মিটারের ইটের গাঁথুনি ও পিলার পুঁতার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় বাঁশের খুঁটি ও পিচেরড্রামের টিন। দুই কোটি টাকার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন অনিয়মের কারনে পুকুরের পাড় ভেঙে সড়ক নামছে পানিতে। সড়কের এমন দশায় এলজিইডি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন কোনাবাড়ী-হরিরামপুর সড়ক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কের অনেকস্থানে উঠে গেছে পিচঢালাই। তিনশ মিটার পাকা গাইডওয়াল নির্মাণের কথা থাকলেও দেখা মেলেনি একশ মিটারের বেশি। ইটের গাঁথুনি ও পিলারের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে বাঁশের খুঁটি ও পিচড্রামের টিন। ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে সড়কের নওপাড়া ও কোনাবাড়ী গজাইরারচর এলাকায়।

নওপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সজল, কোনাবাড়ী গজাইরার চর এলাকার আবদুল আজিজ বাচ্চু, ছামছুল রাজ, আমিরুল ইসলাম, মিজান মিয়া ও কাইয়ুমসহ স্থানীয়রা জানান, সড়কের সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্মমানের সামগ্রী। পাকা গাইডওয়াল নির্মাণেও ব্যাপক অনিয়ম করেছে ঠিকাদার। আর্থিক সুবিধা নিয়ে কাজের মান যাচাই করেননি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা।

নিন্মমানের সংস্কার কাজ ও অনিয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, আমার জানামতে ভালো মানের কাজ হয়েছে। সড়কের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শওকত খান। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।