ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের নারাঙ্গী মৌজায় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর যোগসাজশে বন বিজ্ঞপ্তিত ১১৩০ দাগের জমি দখলসহ পাশের উঁচু চালা ভূমি হতে ভেকু মেশিনে মাটি কেটে নীচু ফসলি জমি ভরাট ও নির্বিচারে বনজ গাছ কেটে জনবহুল এলাকায় চলেছে পোল্ট্রি হ্যাচরী স্থাপনের কাজ। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়ে জনসাধারণের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এলাকাবাসি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাচ্চুু, আফতাব উদ্দিন, আব্দুল গফুরসহ বেশ কিছু লোকের সহযোগিতায় সিপি পোল্ট্রি হ্যাচারী স্থাপনের জন্য সরকারী নির্দেশ অমান্য করে বনবিভােেগর জমি দখলসহ উচু টিলা কেটে ও ভূমির শ্রেণী পরিবর্তণ করে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছেন। তাছাড়া অসংখ্য আকাশমনি ও অন্যান্য গাছ কেটে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
খবর পেয়ে উথুরা বন বিটের লোকজন উল্লেখিত স্থানে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে কিছু মালামাল জব্দ করে নিয়ে আসেন।স্থানীয় বাসিন্দাগন অভিযোগ করেন, বনবিভাগের জমি দখলসহ আইন অমান্য করে কয়েকটি চালার উঁচু টিলায় ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নীচু ধানি জমি ভরাট করে সিপি কোম্পানীর নির্মাণ কাজ চলছে। ফলে জনবহুল ওই এলাকায় পোল্ট্রি হ্যাচারী স্থাপনের কারণে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারন হয়ে দাড়াবে এবং জনসাধারণের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আফতাব উদ্দিন জানান, সিপি কোম্পানীল কাছে তারা সিএসমূলে জমি বিক্রি করেছেন। সাথের ১১৩০ নম্বর দাগে বনবিভাগের জমি থাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) প্রতিনিধি ও বনবিভাগের প্রতিনিধি নিয়ে মাপযোগ করে সীমাণা নির্ধারণের পর কোম্পানীর কাজ করছেন। উচু টিলা কাটা বা হ্যাচারীর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হলে তা পরিবেশ অধিদপ্তর আছে, তারা দেখবেন।
কোম্পানীর ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান বলেন, উক্ত ভুমির শ্রেণির পরিবর্তন ও গাছ কেটে পরিস্কার করার দায়দায়িত্ব স্থানীয় আব্দুল গফুর ও আফতাব উদ্দিনের।
এ ব্যাপারে উথুরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ খান জানান, তারা ওই স্থানে কাজে বাধাঁ দিয়ে কিছু সরঞ্জাম জব্দ করেছেন। এ ব্যাপারে বন আইনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাইন উদ্দিন জানান, বিষয়টি বনবিভাগের, তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।