স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত চব্বিশ ঘন্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এই সময়ে ৭০৭টি নমুনা পরীায় ২১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অপরদিকে চলমান লকডাউনের বিধি নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালত ৩৭৬টি মামলায় ৩লাখ ৩৮ হাজার একশত টাকা জরিমান আদায় করেছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীরা হলেন, ময়মনসিংহ সদরের ফিরোজা খাতুন(৮০), রাবেয়া খাতুন(৭৪), মুক্তাগাছার বিমল কান্তি(৬২), নেত্রকোনার আব্দুল করিম (১০১), দিদারুল ইসলাম (৭২) ও টাঙ্গাইলের রোকেয়া(৪৫)। এছাড়া করোনা ইউনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িায়ার সুমাইয়া(১৯) গৌরীপুরের শেখ সাদী (৫৫), সদরের ঝুনু বেগম (৬০), শেফালী (৩০) মোশাররফ(৫৫), শেরপুরের গোপাল পাল (৩২), জামালপুরের মোহাম্মদ আলী(৫৫), টাঙ্গাইলের রাবেয়া (৭০) ও সুনামগঞ্জের আলেয়া খাতুন (৬৫) মারা গেছেন বলে করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে নতুন ৪৯ জন ভর্তিসহ এখন পর্যন্ত ২২৫ জন এবং আইসিউতে ২০জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সিভিল সার্জন ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০৭টি নমুনা পরীায় ২১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সদরের ১২২জন রয়েছে। পরীা বিবেচনায় ময়মনসিংহ জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৬৬% বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত জেলায় ৮ হাজার ৬৪৮জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ২০৩জন সুস্থ হয়েছে। জেলায় গত চব্
বিশ ঘন্টায় করোনায় ৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ৫জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়ে ১০জন বাড়ি ফিরে গেছেন।
সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধের পঞ্চম দিনে ময়মনসিংহে ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবাধে রিক্সা চলাচল করছে। ওষুধ ও নিত্যপণ্য ছাড়া প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানিয়েছেন নগরীর অলিগলিতে পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে যাতে কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের না হতে পারে।
জেলা প্রশাসক এনামুল হক জানিয়েছেন, জেলাসদরসহ ১৩টি উপজেলায় ৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনা বাহিনীর ১০টি টিম, বিজিবি’র ৮টি টিমসহ র্যাব-পুলিশের ১৮টি টিম লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে। লকডাইন চলাকালে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালত ৩৭৬টি মামলায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার একশত টাকা জরিমান আদায় করা হয়েছে।