করোনায় শনাক্তের রেকর্ড-১১৬৫১ : মৃত্যু-১৯৯

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২১

স্বজন ডেক্স : করোনায় আবারও একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৫১ জন, যা মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল (৭ জুলাই) শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ১৬২ জন, আর তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৫২৫ জন; যা গতকাল পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল। টানা তিন দিন ধরে শনাক্ত ১১ হাজারের বেশি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৯৯ জন। গতকাল একদিনে রেকর্ড ২০১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। মৃত্যুর রেকর্ডের পর দিনই আজ শনাক্তের রেকর্ড হলো।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, আজ নতুন শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ৬৫১ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে শনাক্ত হলেন ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জন। আর মারা যাওয়া ১৯৯ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৫ হাজার ৭৯২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৪৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন আট লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৮ হাজার ২৪টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ২১ হাজার ২২১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে পুরুষ মারা গেছেন ১৩৩ জন, আর নারী ৬৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ১৩৫ জন এবং নারী মারা গেলেন চার হাজার ৬৫৭ জন।

তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুই জন।

মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, খুলনা বিভাগের ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগের তিন জন, সিলেট বিভাগের পাঁচ জন, রংপুর বিভাগের ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ১০ জন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১২ জন।