এম উজ্জ্বল: নালিতাবাড়ী, শেরপুর: প্রতিনিধি :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর রয়েছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে থানা পুলিশ।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে নালিতাবাড়ীতে কঠোর লকডাউন পালন করতে বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। দিনের শুরুতে বাজারে মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পাওয়া ও স্বাস্থ্য সচেতনেতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রনে আনে থানা পুলিশ। এসয় কোন কোন দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীর লক্ষ করা গেছে। শনিবার বাজারের দিন হওয়ায় ও সামনে ঈদ উপলক্ষে হঠাৎ বেড়ে যায় মানুষের সমাগম। বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা। চারদিকে মানুষের এই ভীড় দেখে লক্ষ করা যায় যেন ঈদের বাজার শুরু হয়েছে। এসময় থানা পুলিশ বাজারে এসে মানুষের সমাগম কমাতে অভিযান পরিচালনা করলে দ্রুতই চারদিক নীরব হয়ে যায়। কমে যায় মানুষের চলাচল।
ইতিমধ্যে চলমান ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ ১০ম দিনে অতিবাহিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, বিভিন্ন মোড় এবং বিপণী বিতান গুলোতে মানুষের চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে ডিউটি করে থানা পুলিশ।
নালিতাবাড়ী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো সরেজমিনে ঘুরে পুলিশের টহল দিতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করতে দেখা যায়।
এছাড়া অকারণে ঘোরাঘুরি ও মাস্ক পরিধান না করায় পথচারীদের সচেতন করতে ভূমিকা রাখছেন তারা। দুপুর ১২টার দিকে বাজারে পুলিশ কঠোর নজরদারি শুরু করলে কিছুণের মধ্যেই শহর এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল একটি টহল দল নিয়ে বিরামহীন ভাবে কাজ করতে দেখা যায়। থানার অফিসার ইনচার্জ বছির আহমদ বাদল দৈনিক গণকন্ঠকে বলেন, জনগণকে সরকারি নির্দেশ মানাতে পুলিশ একটু কঠোর হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার হেলেনা পারভীন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা বিশ্বাস সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস থেকে সবাইকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
নালিতাবাড়ী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও গাড়ি চালক বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে দোকান ও গাড়ি বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে। লকডাউনের সময় পরিবারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার যেন অন্তত ব্যবসায়ীদের জন্য ঈদের বিশেষ কটি দিন বেচা-বিক্রি করার সময় দেন।