শাহ্ আলম ভূঁইয়া, প্রধান প্রতিবেদক, নান্দাইল আঞ্চলিক অফিস :
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কৃষক লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ।একের সাফল্যে অন্যরা উৎসাহিত হয়ে লাউ চাষ করছেন।এতে বাড়ছে লাউয়ের আবাদ। অল্প খরচে বেশী মুনাফা হওয়ায় লাউ চাষ ক্রমশই বৃদ্বি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও চাষের জমি উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। লাউ চাষে অল্প খরচের পাশাপাশি শ্রমও কম। লাউ চাষে গোবর, ছাই, কচুরিপানা আর পানিই প্রধান। রাসায়নিক সারের খুব একটা ভূমিকা নেই বললেই চলে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন লাউয়ের আবাদ হয়েছে। ১ টি পৌরসভা ও ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে বীরবেতাগৈর, চরবেতাগৈর, মোয়াজ্জেমপুর, খারুয়া ও রাজগাতি ইউনিয়নে লাউয়ের আবাদ বেশী হয়েছে।
সরেজমিন কথা হয় চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের আবুল কালামের সাথে। তিনি বলেন, এবার ৩৫ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি,আশা করছি আরও ২০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবো। চরশ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল হাই ২৫ শতক জমি থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। নাগপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ১২ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন।চরকামট খালী গ্রামের লাউচাষী মোফাজ্জল, হাটশিরা গ্রামের আব্দুল হামিদ, রামদি গ্রামের মোতালেব,চরশ্রীরামপুর গ্রামের হুমায়ুনসহ আরো অনেকেই জানান, লাউ চাষ করে তারা সবাই লাভবান হয়েছেন।
সবজি হিসেবে ভোক্তাদের কাছে লাউয়ের প্রচুর চাহিদা এবং দাম ভালো থাকায় প্রতিটি লাউ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে প্রচুর লাভবান হচ্ছেন লাউচাষীরা।এছাড়া লাউয়ের শাক বিক্রি করেও অনেক টাকা পাাচ্ছেন তারা। তাছাড়া লাউ বিক্রিতে কোনো অসুবিধা হয় না। বিভিন্ন হাট-বাজারে লাউয়ের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। অন্যদিকে জমি থেকে লাউ কিনে ব্যবসায়ীরা রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাদিয়া ফেরদৌসি জানান, এলাকার কৃষক গ্রীষ্মকালীন লাউ চাষী করে বেশ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সবজির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, বাজারে লাউয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কীটনাশক মুক্ত বিভিন্ন সবজি চাষ করার জন্য কৃষককে উদ্বুদ্ধ সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।