ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার ভ্রুন হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেলিম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ ও ভ্রুন হত্যার ঘটনাটি সুষ্ঠু সমাধান দেয়ার জন্যে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ে পক্ষের কাছে ৫দিনের সময় চাওয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায় উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ের ঈশ্বরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র সেলিম মিয়া(২৫) মোবাইলের মাধ্যমে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাওনা সিজি গার্মেন্টস চাকুরি দিয়ে ভাড়া বাসায় কিশোরীকে রাখে। বিগত এক বৎসর তিন মাস ধরে সেলিম বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করে এবং দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
এতে কিশোরী অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরী বিষয়টি সেলিমকে অবহিত করে বিয়ের কথা বললে সেলিম জানায় পেটের বাচ্চা থাকলে পরিবার অবৈধ সন্তান মেনে নিবে না। কিশোরীকে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য পরামর্শ দেয়। গর্ভপাতের পর বিয়ের আশ্বাসের উপর বিশ্বাস করে গত বৃহস্পতিবার কিশোরী গর্ভপাত ঘটায়। প্রতারণা করে গর্ভপাত ঘটিয়ে লম্পট সেলিম সোমবার উচাখিলা ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামে বিয়ে করে।
বিয়ের খবর পেয়ে কিশোরী মাওনা থেকে ছুটে এসে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তার ঘটনা বর্ণনা করে। কিশোরীর সাথে সম্পর্কের বর্ণনা ও প্রমাণাদি দেখে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য ভুক্তভোগি কিশোরীর পরিবারের কাছ থেকে ছেলের পরিবার ও স্থানীয় মাতাব্বররা ৫দিনের সময় নেয়। ভ্রুন হত্যা ও ধর্ষণের বর্ণনা শুনে সেলিমের নববিবাহিতা স্ত্রী ওই দিনই বাবার বাড়ি চলে যায়। বিষয়টি এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এমন একটি ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।