কেন্দুয়ায় রোকন হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ে
কেন্দুয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত প্রতিবাদ করাই কাল হল চাচা
কেন্দুয়া ( নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ভাতিজীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করাই বখাটেের হাতে প্রাণ দিতে হল চাচা রোকন মিয়ার। এঘটনাটি বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পর নওপাড়া বাজারে তাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বারের পাশে বখাটেদের হাতে হামলার শিকার হয়ে খুন হয় নওপাড়া ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের হাশিম উদ্দিনের ছেলে রোকন উদ্দিন (৪০)।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কেন্দুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কাউরাট শিমুলাটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহদী হাসান জয় (২০) কে। ওই মামলায় এজাহার নামীয় চারজনসহ অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৮/১০ জনকে।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, তার ভাসুরের মেয়ে স্থানীয়রা নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম পড়ে। ওই মেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামীরা উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি নিহত রোকন মিয়া জানতে পেরে মেহদীকে বারণ করা চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দুইদিন আগে নিহত রোকন মিয়াকে খুন-জখমের হুমকী দেয় ঘাতক মেহদী হাসান জয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ মিয়াকে জানানো হলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নওপাড়া বাজারের তাজুল ইসলামের চেম্বারের পেচনে জুতার ফেক্টরী সামনে উভয় পক্ষে আলোচনা জন্য ডাকেন। মেম্বারের কথামত ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে
সাথেই আসামীরা কিরিচ, ছুঁরি ও লোহার রড নিয়ে নিহত রোকনকে ঘেরাও করে পেচন থেকে জাব্বারাই ধরে কিরিচ ও ছুঁরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় ফেরাতে গিয়ে রাকিব নামে একজনও ছুরিকাঘাত হয়েছেন।
পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত রাকিবের চিকিৎসা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় মূল হোতা মেহদী হাসান জয়। ময়নাতদন্ত শেষে ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিহতের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তার নামাজে জানাজাউপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ হাজারো মুসুল্লি অংশ গ্রহণ করেন।
রোকনের মৃত্যুতে এলাকায় এখনো শোকের আবহ বিরাজ করছে। পরিবারের বইছে শোকের মাতম। মৃত্যুকালে রোকন মিয়া স্ত্রীসহ মা-বাবা ও চারটি ছেলে সন্তান রেখে গেছেন।
ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) মনিরুল ইসলাম।
কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন,নিহতের ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হয় রোকন মিয়া। এঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি আসামীদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।