স্বজন ডেস্ক : কানাডার থেকে দুবাই, দুবাইয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে শেষ পর্যন্ত দেশেই ফিরতে হলো।
কানাডায় ঢুকতে না পেরে রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে এমিরেটরসের ইকে৫৮৬ বিমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন মুরাদ।
এরপরই মুরাদকে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার বিজনেস ক্লাস বোর্ডিংয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। অনেকটাই বিষণ্ণ মনে হয়েছে তাকে। আনমনে একদিকে তাকানো মুরাদের পরনে ছিলো ছাই রঙের হুডি। এ ছাড়া কালো মাস্ক, চশমা ও ক্যাপের আবরণে নিজেকে একটু আড়ালে রাখতেই তার চেষ্টা ছিলো। এসময় মুরাদের পাশে কাউকে না দেখা গেলেও একটি লাল রঙের ট্রলিব্যাগ লক্ষ্য করা গেছে। পায়ে ছিলো কালো লোফার। হাতে নিজের মোবাইল ফোন আর পিঠে ও পাশে ছিলো আরও দুটো ব্যাগ।
সাংবাদিকদের এড়াতে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ব্যবহার না করে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে চুপিসারে বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। যদিও এর আগে তিনি সিআইপি গেট ব্যবহার করতেন।
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচিত মুরাদ হাসানকে দেখতে বিমানবন্দরের বাইরে ছিলো উৎসুক মানুষের ভিড়। সাধারণ মানুষেরা মোবাইল ফোন নিয়ে অপেক্ষা করছিলো ছবি তুলতে।
এর আগে কানাডায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ডা. মুরাদ। এরপর সেখান থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেওয়া হয়। পরে দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যায়। তার দেশে ফেরার খবরে রোববার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা ভিড় করেন। তবে তিনি ওই নির্ধারিত ফ্লাইটে আসেননি।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ডা. মুরাদ হাসান কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি। ওইদিন দুপুর দেড়টায় টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাকে জানানো হয়, তার সে দেশে প্রবেশে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। তারপর মুরাদ হাসানকে দুবাইগামী একটি প্লেনে তুলে দেওয়া হয়।