স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে মসজিদ-মাদরাসা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই ভাই নিহতের ঘটনায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৪ জনের নামে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। যার নং ৩৪(১২)২০২১,তাং ১২/১২/২০২১ইং। মামলায় সিরতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদকে হুকুমদাতা হিসাবে প্রধান আসামী করা হয়েছে। জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মমতাজ উদ্দিন, রুবেল মিয়া, কালাম ও মজিবর।
মামলার বাদি নিহত রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামে পিতা আলী আকবর মামলায় অভিযোগ করেন, সিরতা নয়াপাড়ার হুসাইনিয়া মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রায় ৬০ শতাংশ জমি নিয়ে হাসিম মেম্বারদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ আপোষ মীমাংসা জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দরবার শালিস হয়। শালিশে সুরাহা না হওয়ায় এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
এরই জের ধরে গত ২০ ডিসেম্বর সকালে আজিজুল হক, কালা মিয়া ওরফে চাবাইন্যা ও আবুল হোসেন ওরফে ভুনার নেতৃত্বে আসামীরা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র সহকারে সিরতা নয়াপাড়ার ছালুর মোড়ে রফিকুল ইসলামের অটো পার্টস ও গ্যারেজের সামনে এসে উচ্চবাক্য এবং উশৃঙ্খল আচরণ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলামের উপর আক্রমণ বা হামলার নির্দেশ দেন ১ নং আসামী আবু সাঈদ। তার নির্দেশে চক্রটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুলের উপর হামলা করে। রফিকুলের ডাক চিৎকারে তার ভাই শফিকুল এবং পিতা আলী আকবর এগিয়ে এলে চক্রটি তাদের উপরও হামলা করে।
হামলাকারীরা তাদেরকে হুমকি দেয় ঐ মসজিদ মাদ্রাসা নিয়ে কোন ধরণের কথা বললে তাদেরকে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে। হামলায় রফিকুল ও শফিকুল দুই ভাই গুরুতর এবং পিতা আলী হোসেন হাড়ভাঙ্গা আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে রফিকুল ইসলামকে ডাঃ মৃত ঘোষণা করেন এবং শফিকুল ইসলামকে উন্নত চিকৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, দুই ভাই হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মমতাজ উদ্দিন, রুবেল মিয়া, কালাম ও মজিবর। সোমবার তাদেরকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য প্রকাশ পেয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। হত্যাকান্ডের মুলহোতাসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে চেষ্ঠা চলছে। এদের অনেকেই পুলিশী নজরদারির মধ্যে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দু,একদিনের মধ্যেই এদের গ্রেফতার সম্ভব হবে।