স্বজন ডেস্ক : নেপালকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কুয়েতকে পাত্তাই দিল না টাইগার যুবারা। শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘বি’-এর ম্যাচে কুয়েতকে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা মাহফিজুল ইসলাম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।
শুরুতে ব্যাট করে ওপেনার মাহফিজুল ইসলামেরর ১১২ রানে ভর করে কুয়েতের বিপক্ষে ২৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫.৩ ওভারে মাত্র ৬৪ রানে সব উইকেট হারায় কুয়েত।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম। দেখেশুনে খেলে তিনি তুলে নেন শতক। ১০৭ বলে তুলে নিয়েছেন যুবদলের হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর এগোয়নি মাহফিজুলের ইনিংস। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলের মোকাবেলায় করেন ১১২ রান, হাঁকান ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা।
রবিনের শতকের দিনে ঝড়ো ইনিংস খেলেন এস এম মেহরব হোসেন। ২৪ বলের মোকাবেলায় ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান করেন তিনি। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম ২৪ বলে ২৩, গাজী মোহাম্মদ তাহজিবুল ইসলাম ১৯ বলে ২৫ ও আইচ মোল্লা ৩৯ বলে ২০ রান করেন।
শেষদিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারানোয় ৪ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়। তবে ততক্ষণে ক্ষুদে টাইগাররা জড়ো করে ফেলে ২৯১ রান।
কুয়েতের হয়ে আব্দুল সাদিক ৩টি, মোহাম্মদ ওমর ও হেনরি থমাস ২টি করে এবং মোহাম্মদ বাস্তাকি, মিরজা আহমেদ ও আব্দুল্লাহ ফারুক একটি করে উইকেট লাভ করেন।
বাংলাদেশের দেয়া রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে কুয়েত সব উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান করতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মিত ভাবসার। তিনি ৭৭ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে মির্জা আহমেদের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ১১ রান। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে রিপন মন্ডল ৩টি, মেহেরব ও রাকিবুল ২টি করে উইকেট লাভ করেন।