জাহাঙ্গীর হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
শেরপুরের নকলায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা লাভের আশায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। লাভজনক এ ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সার, বীজ ও কৃষি প্রণোদনাসহ পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের উৎসাহী করছে। ফলে দিন দিন কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়ছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে চন্দ্রকোনা, নারায়নখোলা ও পাঠাকাটা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্রার আবাদ হয়েছে। ওইসব এলাকার প্রায় ১০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রাান্তিক চাষী উচ্চ ফলনশীল সুপার সাইন-২৭৬০, এলিট, প্যাসিপিক, মিরাক্কেল, দূরন্তসহ ১০টিরও অধিক হাইব্রিড জাতের ভুট্টা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছে।
মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি ভুট্রা মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। তাছাড়া ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় একদিকে কৃষক যেমন তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারছে অপরদিকে বাজারে ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক তা বিক্রি করে নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলছে। ফলে উপজেলার অপোকৃত উঁচু জমিগুলোতে চলতি মৌসুমে ব্যাপক ভুট্টার চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবছর ১ হাজার ২ শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪ শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্রা চাষে লাভ বেশি খরচ কম হওয়ায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস এ প্রতিনিধিকে জানান, চলতি মৌসুমে ২শ’ ৩০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ভুট্রা বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়েছে। খরচ কম হওয়ায় বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এবার বোরো ধানের জমিতে আগাম জাতের উচ্চ ফলনশীল পুষ্টি সমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় ভুট্টা চাষ করেছে। বাজারে রয়েছে ভুট্রার ভাল দাম, চাহিদাও রয়েছে বেশ। রোগবালাই দমনের জন্য মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।