বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২১

স্বজন ডেক্স : দেশে প্রথমবারের মতো করোনার মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সোমবার (৩ মে) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সঙ্গে রফতানি আয় বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত বছরের ২৩ জুন। তার আগে ৩ জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ১ সেপ্টেম্বর ৩৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

 দেশে বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সঙ্গে রফতানি আয় বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের নিম্নগতি থাকলেও প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করেছে। দেশে উন্নয়নশীল অংশীদারদের বিনিয়োগও আসা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এর আগে ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার হয়।

এদিকে মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয়েও রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০০ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। এই হিসাবে গত বছরের এপ্রিলের সময়ের তুলনায় এই বছরের এপ্রিলে প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এদিকে পণ্য রফতানিতেও নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। এপ্রিল মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ৫০৩ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিলে রফতানি নেমে গিয়েছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলারে। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল ৩১৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। যদিও ২০১৯ সালের এপ্রিলে ৩০৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। সেই তুলনায়ও রফতানি বেড়েছে এক দশমিক ৬২ শতাংশ।