কলিহাসান,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
ঈদের আর মাত্র বেশক’দিন বাকি। খামারি এ ষাঁড়গরুটির নাম রেখেছেন ‘ভাগ্যরাজ’। আর তাঁকে দেখতে প্রতিদিন বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে ভিভিন্ন লোকজন। আর সেই ‘ভাগ্যরাজ’ দুর্গাপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাড়গরু। প্রায় ২৭ মণ ওজনের এই গরু নিয়ে এখন দুঃশ্চিন্তার অন্ত নেই ওই উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের চন্ডিগর গ্রামের খামারি মো. আজিজুল হকের। হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা কালো রংয়ের ভাগ্যরাজ। এর ওজন বলা হচ্ছে প্রায় ২৭মণ। বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে এতবড় গরু নিয়ে পশুর হাটে যাওয়া অনেক ঝামেলাও মনে করছেন তিনি। খামারি আজিজুল খুব সখ করে ষাঁড় গরুটির নাম রেখেছেন ভাগ্যরাজ।
খামারি আজিজুল হক প্রতিবেদককে জানান, অত্র এলাকায় এখনো কোরবানীর হাটের কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হাঁটেই তোলা হয়নি ‘ভাগ্যরাজ’কে। উপযুক্ত দামে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান তিনি। কিন্তু ঈদের আর মাত্র কিছু দিন বাকি থাকলেও ক্রেতাদের তেমন সাড়া মিলছে না। এ নিয়ে দুঃচিন্তায় আছেন আজিজুল। এবার ভাগ্যরাজের দাম ঠিক না করলেও ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে উপযুক্ত দাম পেলেই গরুটি বিক্রি করবেন বলে তিনি জানা যায়।
খামারী আজিজুলের ভাগ্যরাজ খুবই শান্ত প্রকৃতির। লম্বায় সাড়ে প্রায় ৭ফুটেরও বেশি এবং খামারির দাবি এটি অত্র উপজেলা সবচেয়ে বড় কোরবানির গরু। দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের আজিজুলের খামারে লালন-পালন হচ্ছে সেরা এই গরুটি। সারা বছর গরু লালন-পালন করেই চলে তার সংসার। গত কয়েক বছর ধরে দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করে কোরবানির ঈদ আসলেই সেগুলো বিক্রি করেন আজিজুল।
ইতোমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুটি কিনতে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম করেছেন ক্রেতারা। আজিজুলের ইচ্ছে ১৩লক্ষ টাকায় বিক্রি করার। বর্তমানে করোনা দুর্যোগ এর কারণে এবার গরুর বাজার মন্দা থাকায় চিন্তায় আছেন আজিজুল। দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে বেপারীরাও গ্রামে আসছে না। কিন্তু এত বড় গরু লালন-পালনে খরচও অনেক। তাই ভাগ্যরাজকে এবার বিক্রি করতেই হবে তার। উপযুক্ত দামে গরুটি খামার থেকেই বিক্রি করতে চান তিনি। ক্রেতার সুবিধার্তে আগামী ঈদের দিন সকাল পযন্ত গরুটি খামারেই লালন-পালন করে দিতেও আগ্রহী আছেন আজিজুল। সুবিধা মতো দাম পেলে ক্রেতার বাড়ীতে পৌছে দেয়ার দায়িত্বও নিবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ.বি এম আব্দুর রউফ জানান, উন্নত জাতের গরু লালন-পালনে সর্বাত্বক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। খামারিদের বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের প্রণোদনাও দিয়ে আসছি।