কেন্দুয়ায় গো-খামারীদের মুখে হাসি নেই

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২১

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রায় ১৩ হাজার কুরবানি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান লকডাউনে সারাদেশের ন্যায় কেন্দুয়াতেও ২৫টি ইজারাকৃত গরুর হাট বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। ঈদ প্রায় আসন্ন হলেও করোনার কারণে খামারে আসছে না ব্যবসায়ীরা। মাঠে নেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় ভাল দামে পশু বিক্রি করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামার মালিক ও কৃষকরা।

করোনার কারণে ওইসব খামারীরা গত বছরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় অনেকেই গত বছর গরু বিক্রি করতে পারেনি। এবারো যদি বিক্রি না করতে পারেন তাহলে ব্যাপক ক্ষতিমূখে পরবেন তারা। এদিকে কেন্দুয়া প্রাণীসম্পদ কার্যালয় দাবী করছেন তারা অনলাইন কোরবানি পশুর হাট নামে একটি গ্রুপ খুলেছেন কিন্তু বাস্তবে প্রচার-প্রচারণা নেই বলে চলে।

খামারীরা বলছেন,একদিকে গো-খাদ্যের দাম চড়া অন্য দিকে গরুহাট বন্ধ। গরু হাটগুলো চলমান থাকলে বাহিরের গরু বেপারীরা তাদের কাছে যেতু আর তারাও দরদাম করে বিক্রি করতে পারতেন।এবছরও বড় ধরনের লোকশানের আশংকা করছেন তারা। খামারিদের সরকারী প্রনোদনা নিয়েও ক্ষোভ জাড়েন অনেকেই। তাদের দাবী প্রকৃত খামারীরা সরকারী প্রনোদনা পায়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে দুই কর্মকর্তা দুই ধরণের তথ্য দিয়েছেন। সঠিককরে খামারী ও গরু সংখ্যা কেউ বলতে পারেনি। দু’জনের কাছ থেকে অনুমান নির্ভর তথ্য পাওয়া যায়। কৈলাটি গ্রামের আনিছুজ্জামান সিদ্দিকী রেনু জানান, তার খামারে ষাঁড় ও গাভী মিলে ৪২টি গরু রয়েছে। কোরবানির ঈদকে ল্য করে প্রতি বছরের মতো এ বছরও দুইটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কিনে মোটা-তাজা করেছেন। উপজেলা প্রাণীসম্পদ মেলায় ওজনে তার একটি ষাঁড় প্রথম স্থান অর্জন করে পুরস্কার পেয়েছেন।

তাছাড়া আরো কয়েকটি ছোট বড় ষাঁড় গরু রয়েছে। ষাঁড়গুলি বিক্রির জন্য বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন কিন্তু লকডাউনের কারণে কোন পাইকার কিংবা ক্রেতা এগিয়ে আসছেন না। গরু খাদ্যের দাম বেশি তাই গরু গুলি বিক্রয় করা জরুরী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,শুনেছি সরকার খামারীদের প্রনোদনা দিচ্ছেন। আমরা কি এই প্রনোদনার আওতায় পড়ি না প্রতিবেদকের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। শহীদুল হক ফকির বাচ্চু বলেন, একদিকে গো-খাদ্যের চড়া দাম অন্য দিকে গরু হাট বন্ধ। এ অবস্থায় চরম বিপাকে রয়েছি।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খোরশিদ আলম বলেন,উপজেলার প্রায় এক হাজার খামারী রয়েছে। তারা প্রায় গরু,ছাগল ও ভেড়া মিলে ১৩ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গরু বিক্রয়ের জন্য একটি অনলাইন গ্রুপ খোলা হয়েছে। অনলাইনে প্রতারণার শিকার হতে পারেন তাই ক্রেতাগণ আগ্রহী হচ্ছে না।