ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর তত্বাবধানে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হারুয়া গ্রামে ইরি-এগ্রি প্রকল্পের আমন প্রদর্শনী ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে। প্রদর্শনী প্লট গুলোতে ইরি ধানের আশাতীত ফলন হওয়ায় আবাদকারী কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
বিল্ড এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এফআইভিডিবি’র সহযোগিতায় ১৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রামের কৃষাণী ঝুমা রাণী দাসের জমিতে এ শস্য কর্তন করা হয়। এই প্রদর্শনীতে ব্রি ধান-৮০, ব্রি ধান-৮৭, ব্রি ধান-৯৩, ব্রি ধান-৯৪, ব্রি ধান-৯৫ ও ব্রি ধান-৪৯ জাতের ধানের চাষ করা হয়।
কৃষাণী ঝুমা রাণী দাস বলেন, ব্রি ধান-৮০, ব্রি ধান-৮৭, ব্রি ধান-৯৩, ব্রি ধান-৯৪ ও ব্রি ধান-৯৫ এই ৫টি জাতের ধান উচ্চ ফলনশীল। তন্মধ্যে ব্রি ধান-৮০ জাতের ধান তার কাছে বেশি প্রিয়। কারণ ৫০বর্গমিটার জমিতে এ জাতের ধান চাষ করে হেক্টর প্রতি ফলন পেয়েছেন ৫.৭ মেট্রিকটন। যা অন্য জাতে এত ফলন পাওয়া যায়না।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট ইরি’র বাস্তবায়নাধীন নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট ইরি’র সিনিয়র স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ আশরাফুল হাবিব, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ এফআইভিডিবি’র প্রজেক্ট অফিসার সাইফুল ইসলাম, সারোয়ার জাহান, কৃষাণী ঝুমা রাণী দাস, কৃষক নিতাই দাস, মোঃ চান মিয়া, মোঃ ইদ্রিস আলী ও মুহিবুর রহমানসহ এলাকার কৃষকবৃন্দ।
প্রদর্শনী প্লটে গবেষণালব্দ উচ্চ ফলনশীল ইরি ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় অত্র এলাকার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ আশরাফুল হাবিব বলেন, আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউটের উদ্ভাবিত ইরি এই এলাকার জন্য উপযোগী। আধুনিক উফসি জাতের এ ধান কৃষকের চাহিদা পূরণে উপরোক্ত ৬টি জাতের ইরি ধান অধিক আবাদের লক্ষে অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে হেড টু হেড-২০২১ প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়।