শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক, নান্দাইল :
তৈল জাতীয় শষ্য তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে ময়মনসিংহের নান্দাইলের কৃষকদের। তিল চাষে কম খরচে বেশি লাভ এবং সব মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগলেও তিলের গাছ খায় না তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোনো খরচ হয় না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। দেশি জাতের তিল চাষ করেছেন কৃষক।
বেলে-দোঁআশ ও পলি-দোঁআশ মাটি তিল চাষের জন্য উপযোগী। তিল চাষের উপযুক্ত সময় হল ফাল্গুন মাস। তবে চৈত্রের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তিল বোনা শেষ করতে হয়। তিল ফসল সংগ্রহ করতে ৮৫-৯৫ দিন সময় লাগে।
উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি তিল চাষ হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও তিল চাষ হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিটি তিল ক্ষেতে তিল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কোনো কোনো তিল ক্ষেত সম্পূর্ণরূপে পেকে গেছে।
এক মণ তিল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে। এক কাঠা জমিতে তিল চাষ করতে সবমিলিয়ে ৫০০ টাকা খরচ হয়।
উপজেলার চরকামটখালী গ্রামের কৃষক মো.হারুন জানান, তিনি এক কাঠা জমিতে তিল চাষ করেছেন। এবার তিলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চরকোমরভাঙ্গা গ্রামের কৃষক মো.জামাল বলেন, তিনি দুই কাঠা জমিতে তিল চাষ করেছেন। প্রতি কাঠায় এক মন তিল পাবেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আমিনুল হক জানান, কম খরচে উৎপাদন করে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, তিল চাষের খরচ কম, লাভ বেশি। তাই তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিলের ব্যবহার এবং তিল থেকে উৎপাদিত তৈল আমাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। কৃষকদের তিল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।